প্রাণভিক্ষা না চাইলে রায় কার্যকর যেকোনো দিন
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকার পরের প্রক্রিয়া হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারেন। আর তা না চাইলে যেকোনো দিন তাঁর মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা যাবে।
মীর কাসেম আলীর রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আজ সকাল ৯টা ৪ মিনিটে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলীর রায় বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
মীর কাসেমের পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে এ রায় দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ।
বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।
এ রায়ের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রিভিউর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পর মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকার বিষয়টি অবহিত করা হবে। এরপর তিনি প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না, সেটি জিজ্ঞাসা করা হবে। যদি তিনি প্রাণভিক্ষা চান ও রাষ্ট্রপতি সেটি মঞ্জুর করেন, তাহলে ভিন্ন কথা। কিন্তু প্রাণভিক্ষা না চাইলে কিংবা নাকচ হয়ে গেলে যেকোনো সময় দণ্ড কার্যকর করা যাবে।
ওই বক্তব্যের পর এক সংবাদিক বলেন, রাষ্ট্রপতি লন্ডনে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে তিনি বিষয়টি কীভাবে দেখবেন?
জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রাষ্ট্রপতি যেখানেই থাকুন না কেন, তাঁকে বিষয়টি অবহিত করা হলে, তিনি সিদ্ধান্ত জানাতে পারবেন।
মাহবুবে আলম আরো বলেন, উদ্বেগ ছিল, রায় বহাল থাকবে কি না। কিন্তু আদালত রায় বহাল রাখায় স্বস্তি প্রকাশ করা যাচ্ছে।