মীর কাসেম প্রাণভিক্ষা না চাইলে রায় দ্রুত কার্যকর
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলী প্রাণভিক্ষার আবেদন না করলে রায় দ্রুত কার্যকর করা হবে।
মীর কাসেম আলীর পক্ষে করা রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজের রায় প্রকাশিত হওয়ার পর আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, মীর কাসেম আলীর পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ হয়ে গেছে। আপিল বিভাগে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখেছেন। এটি ছিল বিচারের চূড়ান্ত পর্যায়। এই রায়ে সমগ্র দেশবাসী স্বস্তির নিশ্বাস নিচ্ছে।
আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে অপেক্ষা করায় জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, আজ জনগণ তাঁদের বিশ্বাসের মর্যাদা পেয়েছেন।
রায় কার্যকরের পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, রায়ের কপি কারাগারে পৌঁছাবে এবং এরপর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ পাবেন মীর কাসেম আলী। তিনি প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন কি না, তা জানানোর জন্য সাতদিন সময় পাবেন। যদি আবেদন করেন, তাহলে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যদি আবেদন না করেন তাহলে রায়টি কার্যকর করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে সরকার।
আজ সকাল ৯টা ৪ মিনিটে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলীর রায় বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তাঁর পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে এ রায় দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ।