‘টাম্পাকোর ভয়াবহতা রানা প্লাজার চেয়েও বেশি’
গাজীপুরের টঙ্গী বিসিক শিল্পনগরীতে টাম্পাকো ফয়েলস প্যাকেজিং কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা রানা প্লাজার ভয়াবহতাকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দলের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম মাহমুদ হাসান।
উদ্ধারকারী দলের অধিনায়ক জানান, কারখানাটির ভয়াবহতা রানা প্লাজার চেয়েও অনেক বেশি। এখানে যে পরিমাণ গার্বেজ (ধ্বংসাবশেষ) জমে রয়েছে, তা রানা প্লাজার চেয়েও বেশি। সেনাসদর থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী তাঁরা কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।
গত সোমবার সকালে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছেন জানিয়ে এ এস এম মাহমুদ হাসান বলেন, মূলত তাঁরা তিনদিক থেকে কাজ করছেন। তবে কারখানার ভেতরে থাকা ইথাইল কেমিক্যালের ড্রামগুলো উদ্ধারকাজের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকা এসব ইথাইলের ড্রাম একেকটা বোমার মতো। কোনো ড্রামে অসাবধানতাবশত খোঁচা লাগলে সেটি বোমার মতো বিস্ফোরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ধরনের স্থানে কাজ করার মতো অভিজ্ঞতা তাঁদের নেই জানিয়ে উদ্ধারকারী দলের অধিনায়ক এ সেনা কর্মকর্তা জানান, সে কারণে ইথাইলের ড্রামগুলোকে এড়িয়ে সাবধানতার সঙ্গে তাঁদের কাজ করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে এখানকার পুরো কাজ শেষ করতে এক মাসের বেশি সময় লাগবে। এমনকি দুই মাসও লাগতে পারে বলে জানান তিনি।
এর আগে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকালে সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা নামের একিট বহুতল ভবন ধসে পড়ে। এ ঘটনায় এক হাজার ১৭৫ জন শ্রমিক নিহত হন। আহত হন দুই হাজারেরও বেশি মানুষ।