মাদ্রাসা জঙ্গি তৈরির কারখানা নয় : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, এখন মাদ্রাসা জঙ্গি তৈরির কারখানা নয়। মাদ্রাসা ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মাদ্রাসার নামে অপপ্রচার চালানো যাবে না।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) ডা. কায়ছার রহমান চৌধুরী মিলনায়তনে ‘শিক্ষার উন্নত পরিবেশ, জঙ্গিবাদমুক্ত শিক্ষাঙ্গন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনেকের ধারণা কেবল মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরাই জঙ্গি হয়। তাই তারা দেশের মাদ্রাসাগুলোর নামে অপপ্রচার চালায়। তারা বলে, মাদ্রাসা জঙ্গি তৈরির কারখানা। কিন্তু না, এখন মাদ্রাসা জঙ্গি তৈরির কারখানা নয়। মাদ্রাসা ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে যেসব জঙ্গি হামলা চালানো হচ্ছে, তার প্রায় সবগুলোর সঙ্গে নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জড়িত। এর সঙ্গে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জড়িত নয়। দু-একজন মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী জঙ্গি হতে পারে। তাই বলে মাদ্রাসা জঙ্গি তৈরির কারখানা- এ কথা বলা যাবে না। মাদ্রাসার নামে অপপ্রচার চালানো যাবে না।
শিক্ষামন্ত্রী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চেনার তাগিদ দিয়ে শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, ‘অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর জন্য মন্ত্রণালয়ে ছুটবেন, আমাদের কর্মকর্তাদের নাজেহাল করবেন, আর শিক্ষার্থীর চেহারা চিনবেন না, এমনটি আর হতে দেওয়া হবে না। কোনো শিক্ষক যদি তাঁর প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে না চেনেন, তবে ওই প্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিল করা হবে। কেবল প্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিলই নয়, শিক্ষার্থী না চেনা শিক্ষকের চাকরিও সরকারীকরণ করতে দেওয়া হবে না। কারণ তাঁর শিক্ষক হওয়ার কোনো যোগ্যতা নেই। একজন শিক্ষককে তাঁর শিক্ষার্থীর সব বিষয়ের খোঁজ রাখতে হবে। প্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষার্থী ১০ দিনের বেশি অনুপস্থিত থাকলে তাঁর অভিভাবকের সঙ্গে আপনাকে কথা বলতে হবে। অভিভাবক যদি নিশ্চিত করেন ওই শিক্ষার্থী নিখোঁজ, তবে তার ব্যাপারে প্রশাসনকে জানাতে হবে।’
রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় রাজশাহী বিভাগের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা অংশ নেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব সোহরাব হোসেন, অতিরিক্ত সচিব এস এম এহসান কবীর ও চৌধুরী মুফাদ আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুল হুদা, রাজশাহী বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মোহাম্মদ মনির হোসেন, জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দীন এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান।