রাঙামাটিতে হলো পিঠা উৎসব, ফানুস উড়ল আকাশে
সকালে বর্ণিল মোটর শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা আর বিকেলে পিঠা উৎসব, ফানুস ওড়ানো আর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক আয়োজনে রাঙামাটি পার্বত্য শহরে পালিত হলো বিশ্ব পর্যটন দিবস।
সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সম্ভবত এবারই সবচেয়ে জমকালো আয়োজনে পালিত হলো দিবসটি। সন্ধ্যের হঠাৎ বৃষ্টি যদিও সাংস্কৃতিক আয়োজনে বাগড়া দিয়েছে, তবু সারা দিনের আয়োজনকে বেশ স্বস্তিকরই মনে করছেন আয়োজকরা।
মঙ্গলবার সকালে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট থেকে মোটর শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। জেলা পরিষদের সদস্য অমিত চাকমা রাজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জাকির হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. স্নেহ কান্তি চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চিত্তরঞ্জন পাল, পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক অলোক চাকমা রাজু।
রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, সরকার যে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করছে রাঙামাটিতে তার অপার সম্ভাবনা হয়েছে। পর্যটন বিকাশে রাঙামাটি জেলা পরিষদ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বাস্তবায়ন শেষে হলে রাঙামাটি বিশ্বের অন্যতম দর্শনীয় স্থানে রূপ নিবে।
আলোচনা সভার আগে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট থেকে মোটরসাইকেল, পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহন সম্বলিত একটি বর্ণিল মোটর শোভাযাত্রা শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এতে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, উন্নয়নকর্মী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা অংশ নেন।
বিকেলে শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজন করা হয় বৈচিত্র্যময় পিঠা উৎসবের। হরেক রকমের বাহারি পিঠা নিয়ে হাজির হন গৃহবধূরা। পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।
এ সময় রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জাকির হোসেন, নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহম্মেদ, জেলা পরিষদের সদস্য অমিত চাকমা রাজু, স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, সান্তনা চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
পিঠা উৎসবের পর রাতের আকাশে ফানুস ওড়ান অতিথিরা। এ সময় বিপুল করতালিতে ফানুসকে বিদায় জানায় উপস্থিত দর্শক। ফানুস ওড়ানোর পর শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।এতে সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করে রাঙামাটির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা।