স্থলসীমান্ত চুক্তি শান্তিপূর্ণভাবে দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে : পঙ্কজ শরন
স্থলসীমান্ত চুক্তি শান্তিপূর্ণভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরন।
আজ রোববার সকালে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অভ্যন্তরে ভারতীয় দাশিয়ারছড়া ছিটমহল পরিদর্শনকালে এক মতবিনিময় সভায় পঙ্কজ শরন এ কথা বলেন। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগের পর আজ রোববার প্রথম কোনো ভারতীয় উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা বাংলাদেশের ভেতরে ভারতীয় ছিটমহল পরিদর্শনে আসেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে এই স্থলসীমান্ত চুক্তিটি শান্তিপূর্ণভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। দুই দেশের মধ্যে যে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, এ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। আপনারা শান্তিপ্রিয় মানুষ। আপনারা সবাই আইনের শাসন মেনে চলবেন। চুক্তিটির বাস্তবায়ন আপনাদের সহযোগিতার ওপর নির্ভর করবে।’
urgentPhoto
পঙ্কজ শরন বলেন, ১৯৭৪ সালে ইন্দিরা-মুজিব যে চুক্তি হয়েছে তাতে পরিষ্কারভাবে বলা আছে, যে যে দেশের অভ্যন্তরে ছিটমহলের নাগরিক সে সে দেশের নাগরিকত্ব পাবে। ওই চুক্তির বাস্তবায়নে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। ছিটমহলবাসী এখন থেকে নতুন জীবন শুরু করবে।
বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সভাপতি মইনুল হকের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ফুলবাড়ীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন, কুড়িগ্রাম জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন, বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, ভারতীয় ছিট দাশিয়ার ছড়ার সমন্বয় কমিটির সভাপতি আলতাফ হোসেন।
পরে পঙ্কজ শরন ফুলবাড়ী উপজেলার কালিহাট মাদ্রাসা ময়দানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। তিনি ভুরুঙ্গামারী উপজেলার আরো দুটি ছিটমহল পরিদর্শন করেন।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর গত ৭ মে বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি বিল ভারতের নিম্নকক্ষ পার্লামেন্ট লোকসভায় সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়। এর আগের দিন বিলটিতে সমর্থন দেন রাজ্যসভার সদস্যরা। তবে ত্রুটি থাকায় বিলটি আবারও পার্লামেন্টে পাস করাতে হবে। এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ ১১১টি ছিটমহলের ১৭ হাজার ২৫৮ একর জমি এবং ভারত ৫১টি ছিট মহলের সাত হাজার ১১০ একর জমি পাবে।