আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী হলে ভোট
আগামীকাল শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন। এরই মধ্যে শেষ করে আনা হয়েছে সব প্রস্তুতি, নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা।
দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ বলেছেন, সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী হলে ভোটের মাধ্যমেই তা নির্ধারণ করা হবে।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের প্রস্তুতি দেখতে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এদিকে শনিবার ও রোববার দুদিনব্যাপী ইতিহাসের অন্যতম জাঁকজমকপূর্ণ ও ব্যয়বহুল আওয়ামী লীগের সম্মেলন সফল করতে প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপকমিটি। নৌকার আদলে নির্মিত মঞ্চের দুই পাশজুড়ে শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্য এবং জাতীয় নেতাদের ছবি। শেষ মুহূর্তে মঞ্চে উদ্বোধনী গান ও নৃত্যের মহড়া করছেন শিল্পীরা।
এ ছাড়া পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানজুড়ে আলোকসজ্জাসহ নানা বর্ণিল ফেস্টুন, জলাধারে নৌকা ও কৃত্রিম জাতীয় ফুল শাপলা দিয়ে সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছেন শিল্পীরা। সম্মেলনকে নির্বিঘ্ন করতে পুরো নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে পুরো উদ্যান চত্বর।
দলের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা, সম্মেলনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক-অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এমন নেতৃত্বই নির্বাচন করবেন প্রতিনিধিরা।
আওয়ামী লীগের কাউন্সিল ও সম্মেলনস্থলে শহীদ বুদ্ধিজীবী আলতাফ মাহমুদের মেয়ে শাওন মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের একটা স্পষ্ট উচ্চারণ থাকবে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ যারা বানাতে চায় তাদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট উচ্চারণ নিয়ে আসব। এবং সেই আদর্শে বলীয়ান একটি কমিটি আমি চাই।’
আরেক শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে শমী কায়সার বলেন, ‘পুরোনো যারা যেই কাজগুলো রেখে গেছেন নতুনদের ওপর, এটা একেবারে রিলে রেসের কাঠির মতো যে কাজগুলো এখনো করা বাকি আছে, সে কাজগুলো নতুন নেতৃত্ব নিয়ে যাবে।’
সম্মেলনস্থলে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘যিনি কাজ করবেন প্রধান হিসেবে তাঁর মনমতো হওয়াটাই তো সবচেয়ে বেশি গণতান্ত্রিক আমার মতে। তা ছাড়া এটা শেষমেশ কাউন্সিলেও তো যাবে। কাউন্সিল থেকে পাস হবে ন্যাচারালি।’
তবে দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে যে গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে তার জবাবে সম্মেলনের নির্বাচন কমিটির সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ জানান, ঐতিহ্য অনুযায়ীই সাধারণ সম্পাদকসহ সব পদে নেতারা নির্বাচিত হবেন।
কাজী জাফরুল্লাহ বলেন, ‘নিয়ম হচ্ছে আমাদের একাধিক যদি প্রার্থী হয়, তাহলে ভোট হবে। একাধিক প্রার্থী না হলে আলোচনার মাধ্যমে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করে দেবেন যে আমাদের সাধারণ সম্পাদক কে হবেন আগামী কাউন্সিলের পরে।’
সম্মেলন উপলক্ষে রাতের রাজধানীজুড়ে যে বর্ণিল আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিকে ঘিরে এমনটি এবারই প্রথম বলে মনে করছেন ঢাকাবাসী।