নাসিরনগরে মন্দির ভাঙচুর, দুটি তদন্ত কমিটি গঠন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মন্দির ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে ওই দুটি কমিটি করা হয়েছে।
এদিকে আজ মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একটি প্রতিনিধিদল।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নাসিরনগরের বিষয়টি তদন্ত করার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামসুল আলমকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকেও একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেনকে প্রধান করে ওই তদন্ত কমিটি করা হয়।
এদিকে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত নয়জনকে আটক করা হয়েছে।
গত শুক্রবার নাসিরনগর উপজেলার হরিণবেড় গ্রামের রসরাজ দাস নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফেসবুক পেজে পবিত্র কাবা শরিফ নিয়ে অবমাননামূলক পোস্ট দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রোববার সকালে তৌহিদী জনতার ব্যানারে ১২টি মন্দির ও বাড়িঘরে ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কাজল দত্ত ও নির্মল দত্ত নাসিরনগর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় দুই হাজার ৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এদিকে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরস্থল পরিদর্শন করেছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল। দুপুরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীমের নেতৃত্বে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি, গোলাম কবির রব্বানী চিনু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মঈন উদ্দিন মঈনসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনে গিয়ে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্তদের সান্ত্বনা এবং সহায়তার আশ্বাস দেন।
পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধিদলের প্রধান এ কে এম এনামুল হক শামীম জানান, নাসিরনগরের বিষয়টি সরকারের সর্বোচ্চ ফোরাম থেকে তদারকি করা হচ্ছে এবং অভিযুক্তদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এরই মধ্যে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।