২৪ বছর পর এরশাদের আপিল শুনানির দিন ধার্য
দীর্ঘ দুই যুগ পর সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতির মামলার সাজার বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। আগামী ১৫ নভেম্বর শুনানি হবে।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের হাইকোর্টের একক বেঞ্চ শুনানির জন্য এই দিন ঠিক করেন।
১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতায় ছিলেন এরশাদ। এই সময় বিভিন্ন স্থান থেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে পাওয়া উপহার তিনি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেননি বলে অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর উপপরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমেদ রাজধানীর সেনানিবাস থানায় এইচ এম এরশাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় এক কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়।
ওই মামলায় ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের রায়ে এরশাদকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ওই পরিমাণ অর্থ ও একটি টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে একই বছর হাইকোর্টে নিম্ন আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন এরশাদ। আদালত আপিল গ্রহণ করে নিম্ন আদালতের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। সেই সঙ্গে জজ আদালতের নথিও তলব করা হয়।
দীর্ঘ ২৪ বছর পর এইচ এম এরশাদের সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু করার উদ্যোগ নেয় দুদক।
আজ শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে। আদালতে এরশাদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
এরশাদের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্যই তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করেছিলেন। এবার ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে বলে তাঁরা আশাবাদী।