জোবায়দা রহমানের মামলা শুনতে বিব্রত হাইকোর্ট
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রুল শুনানিতে বিব্রত বোধ করেছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি করতে বিব্রত বোধ করেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির।
অন্যদিকে, জোবায়দা রহমানের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী।
শুনানি শেষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান কবির সাংবাদিকদের জানান, শুনানির একপর্যায়ে আদালত বলেন, ‘এই মামলা আমরা শুনব না। এই মামলা শুনতে বিব্রত বোধ করছি।’
ফলে নিয়ম অনুযায়ী মামলাটি এখন প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। প্রধান বিচারপতি মামলাটি শুনানির জন্য অন্য কোনো বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করে দুদক।
মামলায় তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। পরে একই বছরে জোবায়দা রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এর বিরুদ্ধে আপিল করা আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। কিন্তু এ মামলায় আসামিপক্ষ দুদককে বিবাদী করেনি। তবে বিবাদী হওয়ার জন্য আবেদন করে দুদক। গত বছরের ২ এপ্রিল দুদকের এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ দুদককে বিবাদী করার আবেদন মঞ্জুর করেন।