সালাহ উদ্দিন ভারতে কী বলেছেন জানি না : স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ ভারতের মেঘালয় রাজ্য সরকারের পুলিশের কাছে তাঁর ‘নিখোঁজ’ হওয়ার বিষয়ে কী বলেছেন সেটা জানেন না বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজারের চকরিয়ায় হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দুটি নতুন ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
সালাহ উদ্দিন আহমেদ প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘ভারতে কী বলেছেন সেটা তো আমরা জানি না। আমাদের কাছে যখন আসবে, আমাদের কাছে উনি কী বলবেন, সেটা আপনারা দেখবেন। আমাদের কাছে যদি এ ধরনের কিছু বলেন তখন আপনাদের জানাব, উনি কীভাবে কী হয়েছেন। আমাদের কাছে তো এখনো আসেন নাই। আসুক। তারপর আমরা বলব। তাঁর বিরুদ্ধে আমাদের প্রশাসনের হুলিয়াও রয়ে গেছে। কাজেই আমাদের আইনি প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
ভবন দুটি উদ্বোধন শেষে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী চকরিয়া মালুম ঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি মাঠে এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ, সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি, সাইমুম সরওয়ার কমল প্রমুখ।
গত ১০ মার্চ ঢাকার উত্তরার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ‘নিখোঁজ’ ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ। ওই দিন রাতে তাঁকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে তাঁর পরিবার ও বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। গত ১১ মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের রাস্তায় সালাহ উদ্দিনকে পাওয়া যায়। পরে পুলিশ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরদিন সালাহ উদ্দিন তাঁর স্ত্রী হাসিনা আহমেদের কাছে ফোন করেন। সালাহ উদ্দিন সেখানকার পুলিশ ও সাংবাদিকদের জানান, দুই মাস আগে তাঁকে ঢাকা থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। এ নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
মেঘালয় পুলিশের কয়েকটি অসমর্থিত সূত্রের খবরে বিবিসি বাংলা জানায়, নিখোঁজ বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ ভারতের গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, তাঁকে কোনো একটা জায়গায় ঘুপচিঘরে রাখা হয়েছিল দুই মাসের বেশি সময়।
কলকাতা থেকে আসা সালাহ উদ্দিনের আত্মীয় আইয়ুব আলী গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে শিলংয়ের সিভিল হাসপাতালে তাঁর সাথে দেখা করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, সালাহ উদ্দিন জানিয়েছেন, কিছু লোক তাঁকে ৬২ দিন আটকে রাখে। পরে চোখ বাঁধা অবস্থায় অনেকগুলো গাড়ি পরিবর্তন করে তাঁকে শিলং গলফ কোর্স এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পরে তিনি নিজেই পুলিশের কাছে যান। সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের অনুরোধ জানিয়ে এরই মধ্যে ভারতকে একটি রেড নোটিশ পাঠিয়েছে আন্তর্জাতিক পুলিশের সংস্থা ইন্টারপোলের ঢাকা ইউনিট। মেঘালয় রাজ্য পুলিশের মহাপরিচালক (ডিজিপি) রাজীব মেহতার বরাত দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া এ-সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করে।