হোশি কুনিও হত্যার আসামিসহ গ্রেপ্তার ৪
রংপুরের পীরগাছা এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ইটভাটা থেকে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) চার সদস্যকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদের মধ্যে একজন জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও হত্যা মামলার আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়নের সাহাবাজপুর গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। তখন জেএমবি সদস্যদের ছোড়া বোমার বিস্ফোরণে পুলিশের চার সদস্যও আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে তারা।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া চারজন হলেন পীরগাছা উপজেলার দুর্গাচরণ গ্রামের বেলাল হোসেন (৪৬), একই উপজেলার পশুয়া টাঙ্গাইলপাড়া গ্রামের এরশাদ আলম (২৮), আশরাফুল ইসলাম (২৩) এবং পশুয়া খাঁপাড়া গ্রামের আল-আমিন (২০)।
আহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ করিম, কনস্টেবল আসাদ এবং কোতোয়ালি থানার কনস্টেবল কুতুব।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রংপুরে নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনায় গোপন বৈঠক করছিলেন জেএমবি সদস্যরা। সেখানে অভিযান চালিয়ে চার সদস্যকে আটক করা হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা ককটেল নিক্ষেপ করে। এতে চার পুলিশ সদস্য আহত হন।
ওসি জানান, পুলিশও আত্মরক্ষার্থে প্রায় ছয়টি গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় পিস্তল, দুটি চাপাতি, একটি কুড়াল ও তিনটি ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ওসি আরো জানান, আটক বেলাল জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও, খাদেম রহমত আলী হত্যা ও বাহাই সম্প্রদায়ের নেতা রুহুল আমীন হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি এবং জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার।
এ ছাড়া আটক আরেক সদস্য এরশাদ আলম কল্যাণপুরে নিহত জঙ্গি রায়হানের সহযোগী।
এর আগে জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও ও মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যাসহ নেতা রুহুল আমীনকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় জেএমবি সদস্য মাসুদ রানা ও ইছাহাক আলীকে। তাদের বাড়িও পীরগাছা উপজেলার পশুয়া খাঁপাড়া ও টাঙ্গাইলপাড়া গ্রামে।
২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর জাপানি নাগরিক হোশি কোনিওকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই বছরেরই ১০ নভেম্বর খুন হন মাজারের খাদেম রহমত আলী।