র্যাবের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার মামলা খারিজ
রাজধানীর হাজারীবাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আরজুকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে করা মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। মামলায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-২) অধিনায়কসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছিল।
আজ সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম প্রণব কুমার হুই এ আদেশ দেন। এর আগে আদালতে ঢাকার মহানগর হাকিম এস এম মাসুদজামান তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
গত বছরের ২৫ আগস্ট ঢাকার মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান এ মামলায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
নিহত আরজুর ভাই ঢাকার মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনানের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন- র্যাব ২-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাসুদ রানা, উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) শাহিদুর রহমান, পরিদর্শক ওয়াহিদ ও সোর্স রতন।
মামলার নথি হতে জানা যায়, গত বছর ১৭ আগস্ট দিবাগত গভীর রাতে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন হাজারীবাগের কিশোর রাজা (১৭) হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা আরজু (২৮)।
পরে ১৮ আগস্ট ভোর সাড়ে ৫টায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সে সময় র্যাব ২-এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাসুদ রানা জানান, ১৭ আগস্ট সকালে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে একই এলাকার রাজা নামের এক কিশোরকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন হাজারীবাগ থানা ছাত্রলীগ নেতা আরজু।
এ ঘটনায় রাজার বোন রেশমা আক্তার শাবানা বাদী হয়ে হাজারীবাগ থানায় আরজুকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
মামলা করার পর র্যাব ২-এ বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে।
রাত সাড়ে ১১টায় হাজারীবাগ এলাকা থেকে আরজুকে আটক করে র্যাব। পরে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে অন্য আসামিদের ধরতে হাজারীবাগের বারইখালী এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা আরজুর সহযোগীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পরে র্যাবও তাঁদের জবাবে পাল্টা গুলি চালায়। এর একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও আরজুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভোর সাড়ে ৫টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন বলেও জানান লে. কর্নেল মাসুদ রানা।