নরসিংদীতে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৪৬ জনকে আসামি করে মামলা
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার নীলক্ষা চরাঞ্চলে সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মামলা দুটিতে ২৪৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে রায়পুরা থানায় ‘পুলিশের ওপর হামলা’ ও ‘বিস্ফোরক আইন’-এ পুলিশ বাদী হয়ে ২৪৬ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে। তবে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হয়নি।
নরসিংদী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) বশির উদ্দিন জানান, আজ সকালে পুলিশ বাদী হয়ে ২৪৬ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে। এর মধ্যে রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ‘বিস্ফোরক আইনে’ নীলক্ষার আবদুল মতিনকে প্রধান আসামি করে ৮৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। আর এসআই ওবায়দুর রহমান বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সোনাকান্দি গ্রামের তৌকির আহমেদকে প্রধান আসামি করে ১৬০ জনের বিরুদ্ধে অপর মামলাটি করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হক সরকার ও বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই মধ্যে গত শনিবার সকালে দুই পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। তিনদিন ধরে দফায় দফায় চলতে থাকে সংঘর্ষ। এতে চারজন নিহতসহ উভয় পক্ষের শতাধিক সমর্থক আহত হয়। অর্ধশতাধিক বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
সর্বশেষ সোমবার সকালে দুই পক্ষ আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ নির্বাহী হাকিমের উপস্থিতিতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। অপরদিকে দুই পক্ষের সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র টেটা নিক্ষেপ করে। এ সময় রায়পুরা থানার ওসি আজহার উদ্দিনসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ছাড়া আরো অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। তারা নরসিংদী ও পাশের জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আজ সকালে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে আজ মঙ্গলবারেও নীলক্ষা চরাঞ্চলের গ্রামগুলোতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।