বার কাউন্সিল নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিটের আদেশ বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা রিটের আদেশের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন ধার্য থাকলেও আজ বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ নতুন দিন ধার্য করেন।
এর আগে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সংশোধনী আইন, ২০০৩ এর ৩ নম্বর ধারাকে কেন অবৈধ এবং সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
গত ১৭ মে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ইউনূস আলী আকন্দ জনস্বার্থে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। এই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রুল জারি করেন। রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বার কাউন্সিলের নির্বাচনী তফসিল স্থগিতের আদেশ চান ইউনূস আলী। পরে আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।
শুনানিতে রিট আবেদনকারী ড. ইউনূস আলী আকন্দ ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস অংশ নেন।
অ্যাডভোকেট ড. ইউনূস আলী আকন্দ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ১৯৭২ সালের মূল রুলসে একজন ভোটার ১৪টি ভোটাধিকার প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে। অথচ ২০০৩ সালে নিয়ম করা হয় যে একজন ভোটার মাত্র সাতটি ভোট প্রয়োগ করতে পারবেন। যা মূল আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই রিট দায়ের করেছি। আদালত শুনানি শেষে রুল জারি করেছেন। এখন নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করা হয়েছে।’
আগামী ২৭ মে বার কাউন্সিলের এবারের নির্বাচনে ভোটগ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। শুরু থেকে এ নির্বাচন ২০ মে দিন ধার্য থাকলেও পরে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ মে কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগেও ভোটার তালিকায় ‘অস্পষ্টতা ও একই নাম একাধিকবার’ থাকার কথা জানিয়ে ১০১ জন আইনজীবী গত ২৯ এপ্রিল আলাদাভাবে কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সচিবকে চিঠি দেন। বার কাউন্সিল নিজস্ব নথিপত্রের সাহায্য না নিয়ে আইনজীবী সমিতিগুলোর পাঠানো সদস্য তালিকা ধরেই ভোটার তালিকা তৈরি করেছে বলে চিঠিতে অভিযোগ করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, এ ভোটার তালিকা ‘স্বচ্ছভাবে’ হয়নি। কোনো নির্বাচিত সদস্য এ কাজের সঙ্গে ছিলেন বলেও তাঁরা জানেন না।
বার কাউন্সিল নির্বাচনে মোট ১৪ জন সদস্য নির্বাচিত হবেন। এর মধ্যে সারা দেশে সনদপ্রাপ্ত আইনজীবীদের ভোটে সাধারণ আসনে সাতজন এবং দেশের সাতটি অঞ্চলের স্থানীয় আইনজীবী সমিতির সদস্যদের মধ্য থেকে একজন করে আরো সাতজন নির্বাচিত হয়ে আসেন।
এ ১৪ জন সদস্যের ভোটে নির্বাচিত হন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান। আর অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে পদাধিকার বলে কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।