স্বতন্ত্র প্রার্থীর দরকার ৩০০ ভোটারের স্বাক্ষর
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে (নাসিক) হতে যাচ্ছে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন। এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে কেউ নির্বাচন করতে চাইলে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ৩০০ ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা দাখিল করতে হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ নির্বাচনের জন্য জারি করা ইসির পরিপত্রে বলা হয়, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর প্রার্থিতার জন্য সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশনের ৩০০ স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে। তবে কোনো স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে আগে নির্বাচিত হয়ে থাকলে তাঁর জন্য ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা জমা দিতে হবে না। এ ছাড়া দলীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দলের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে।
জামানত : মেয়র পদে নির্বাচন করতে অনধিক পাঁচ লাখ ভোটারসংবলিত নির্বাচনী এলাকার জন্য ২০ হাজার টাকা, পাঁচ লাখ এক থেকে ১০ লাখ ভোটারসংবলিত নির্বাচনী এলাকার জন্য ৩০ হাজার টাকা, ১০ লাখ এক থেকে ২০ লাখ ভোটারসংবলিত নির্বাচনী এলাকার জন্য ৫০ হাজার টাকা এবং ভোটার সংখ্যা ২০ লাখের ওপর হলে এক লাখ টাকা জামাদানের প্রমাণস্বরূপ ট্রেজারি চালান বা পে-অর্ডার বা কোনো তফসিলি ব্যাংকের রসিদ মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
এ ছাড়া কাউন্সিলর নির্বাচনের জন্য প্রতিটি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে অনধিক ১৫ হাজার ভোটারসংবলিত ওয়ার্ডের জন্য ১০ হাজার টাকা, ১৫ হাজার এক থেকে ৩০ হাজার ভোটারসংবলিত ওয়ার্ডের জন্য ২০ হাজার, ৩০ হাজার এক থেকে ৫০ হাজার ভোটারসংবলিত ওয়ার্ডের জন্য ৩০ হাজার টাকা এবং ভোটার সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি হলে কোনো ওয়ার্ডের জন্য ৫০ হাজার টাকা জামাদানের প্রমাণস্বরূপ ট্রেজারি চালান বা পে-অর্ডার বা কোনো তফসিলি ব্যাংকের রসিদ মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিটি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জমাদানের প্রমাণস্বরূপ ট্রেজারি চালান বা পে-অর্ডার বা কোনো তফসিলি ব্যাংকের রসিদ মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
সোমবার নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, সিটিতে ভোট হবে আগামী ২২ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ২৬ ও ২৭ নভেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৪ ডিসেম্বর।