সাঁওতালদের জানমাল রক্ষায় সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ নয়
গাইবান্ধায় সাঁওতালদের সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
তিনটি সংগঠনের পক্ষ থেকে করা এক রিটের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রুলে সাঁওতালদের বাড়িঘর ও স্বাভাবিক চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। তাঁদের ওপর হামলার ঘটনায় কী কী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানাতে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সাঁওতালরা যে ধান বপন করেছেন, তা তাঁদের কেটে নেওয়ার সুযোগ অথবা চিনিকল কর্তৃপক্ষকে তা কেটে সাঁওতালদের দিতে বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, খাদ্য ও চিনিকল করপোরেশনের সচিব, গাইবান্ধার ডিসি, এসপি ও গোবিন্দগঞ্জের একটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ আদালতে রিটকারীদের পক্ষে অ্যাডভোকেট এম আমিন উদ্দিন আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
এর আগে গতকাল বুধবার গাইবান্ধায় সাঁওতালদের ওপর কোন কর্তৃত্ববলে পুলিশ গুলি চালিয়েছে, তা জানতে চেয়ে রিট করা হয়। দুপুরে তিন সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), ল্যান্ড রিফর্ম ডেভেলপমেন্ট ও ব্রতী সমাজ সংস্থার পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
রিটে সাঁওতালদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে বাধা না দেওয়া এবং তাঁদের হয়রানি না করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) রিটে বিবাদী করা হয়।
গত ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জ আখ খামারের জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সেখানে বসবাসরত প্রায় আড়াই হাজার সাঁওতাল বসতি পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় বাঙালি-পুলিশ ও সাঁওতালদের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন সাঁওতাল আহত হন। মামলা করা হয় শতাধিক সাঁওতালের নামে। এ ঘটনায় আহত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।