মেহেরপুরে ডায়রিয়ার প্রকোপ, কারণ নোংরা পরিবেশ
মেহেরপুরে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ২৭ দিন ধরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীদের ভিড় বাড়ছে। প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু ও বয়স্ক মানুষ এবং মেহেরপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা।
urgentPhoto
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে মেহেরপুর এসেছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রতিনিধিরা। প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে ও সংস্থার প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, পৌরসভার দুর্বল নর্দমা ব্যবস্থাপনা, নোংরা পরিবেশ এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতার অভাবের কারণেই ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে।
চলতি সপ্তাহে সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ১০ শয্যার বিপরীতে ৬৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। কাঙ্ক্ষিত সেবা না দিয়ে সেবিকারা রোগীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক রোগীর স্বজনরা।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, ওষুধ সংকটের কারণেও চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনে এনে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আর ডায়রিয়ার ব্যাপারে আরেকটি চিকিৎসক দল (মেডিকেল টিম) গঠন করা হবে। এ দলের মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি আরো জানান, মেহেরপুরে ডায়রিয়ার কারণ খতিয়ে দেখার জন্য আইইডিসিআর থেকে আট সদস্যের একটি দল এসেছে। তারা ডায়রিয়ার কারণ ও উৎস খুঁজে বের করবেন।
দায়ী দুর্বল নর্দমা ব্যবস্থাপনা আর নোংরা পরিবেশ
পৌরসভার দুর্বল নর্দমা ব্যবস্থা, নোংরা পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবে মেহেরপুরে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রতিনিধিরা। চলতি সপ্তাহে মেহেরপুর পৌরসভাসহ বিভিন্ন এলাকায় তথ্য সংগ্রহ শেষে এ তথ্য জানান প্রতিনিধি দলের প্রধান আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র দাস। পৌরসভার সরবরাহ করা পানি পরীক্ষা শেষে ডায়রিয়ার প্রকৃত উৎস জানানো হবে বলে তিনি জানান।