দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ আদালতের
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক অনুসন্ধানী বা তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মো. আনোয়ারুল হক নামের ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কমিশনের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত এক লিভ টু আপিলের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম আমিন উদ্দিন ও এম আবুল কাশেম সেলিম।
দুদকের নোটিস অনুযায়ী দুই দফা সম্পদের তথ্য বিবরণী জমা দেন রাজধানীর বনানীর পোশাকশিল্পের ব্যবসায়ী আশরাফুল হক। এরপরও তৃতীয় দফা এই নোটিস পাওয়ার পর দুদকের ওই নোটিসের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন আশরাফুল হক। রিটটি হাইকোর্টে খারিজ হয়ে গেলে এর বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন তিনি। এই আপিলের শুনানি নিয়ে আজ এ নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।
এ বিষয়ে রিটকারীর আইনজীবী এম আবুল কাশেম সেলিম সাংবাদিকদের জানান, দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক ২০১০ সালের ১৯ অক্টোবর মো. আশরাফুল হকের সম্পদের তথ্য চেয়ে প্রথম দফায় নোটিস পাঠান। প্রথম নোটিস পাওয়ার পর তথ্য বিবরণী দেওয়া হলেও ২০১১ সালের ৪ এপ্রিল আবার নোটিস দেন এই কর্মকর্তা। ওই নোটিশের পর দ্বিতীয়বার তথ্য বিবরণী জমা দেন আশরাফুল হক। কিন্তু কয়েক মাস পর একই বছরের ৭ আগস্ট তৃতীয় দফায় আবার নোটিস পাঠায় দুদক।
তৃতীয় নোটিসটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১২ সালে একটি রিট আবেদন করা হয়। আবেদনে এই নোটিসকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল চাওয়া হয়। একইসঙ্গে নোটিসের কার্যিকারিতাও স্থগিত চাওয়া হয়।
কিন্তু ২০১৩ সালের ১৩ জুন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও এ কে এম জহিরুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ রিটটি খারিজ করে দেন। পরবর্তী সময়ে ২০১৪ সালে হাইকোর্টের দেওয়া খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করা হয়।