সাংসদ ও ইউএনওর বিরুদ্ধে সাঁওতালদের মামলা
গাইবান্ধার সাহেবগঞ্জে সাঁওতালদের ওপর হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার ২০ দিন পর গোবিন্দগঞ্জ থানায় আরো একটি মামলা করা হয়েছে।
আজ শনিবার সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির পক্ষে থমাস হেমব্রম বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল হান্নান, রংপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল আউয়াল, সাপমারা ইউপি চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুল, কাটাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রফিকসহ ৩৩ জনের নামোল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরো চার থেকে পাঁচশজনকে মামলায় আসামি হিসেবে রাখা হয়েছে।
মামলা দাখিলে বাদী থমাস হেমব্রমকে সহায়তা করতে আইন ও সালিশ কেন্দ্র, ব্লাস্ট, নিজেরা করি ও এএলআরডির ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশের পক্ষে গোবিন্দগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আল মো. নাজমুল আহমেদ মামলাটি গ্রহণ করেন।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ প্রশাসন ও চিনিকল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে সাঁওতালদের জমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় তিন সাঁওতালের মৃত্যু হয়। আহত হয় পুলিশসহ বেশ কয়েকজন।
এ ঘটনার ১০ দিন পর গত ১৭ নভেম্বর স্বপন মুরমু নামে এক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোক অজ্ঞাত পাঁচ থেকে ছয়শজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন।
যদিও তখন সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির নেতারা জানিয়েছিলেন, মামলাটি ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে করা হয়নি। এ মামলার ব্যাপারে তাঁরা কিছু জানেন না।