সাখাওয়াতের খরচ আট লাখ, সাত লাখই দান!
আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর নাম অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। তাঁর আরেক পরিচয়, আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আইনজীবী তিনি।
নির্বাচনে অংশ নিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে যে ব্যয় বিবরণ জমা দিয়েছেন এই আইনজীবী তাতে দেখা গেছে , মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য আনুমানিক আট লাখ টাকা খরচ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর মধ্যে বিদেশে চাকরিরত মিল্টন হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি সাখাওয়াত হোসেনকে দেবেন পাঁচ লাখ টাকা। এই ব্যক্তির সঙ্গে সাখাওয়াতের সম্পর্ক মামা-ভাগ্নের।
এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম দেওভোগ এলাকার মো. আনছার উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বিএনপির এই প্রার্থীকে নির্বাচনে খরচ করার জন্য দান হিসেবে দেবেন দুই লাখ টাকা।
অর্থাৎ মেয়র হিসেবে নির্বাচন করতে যে আট লাখ টাকা খরচ করবেন সাখাওয়াত হোসেন তার মধ্যে সাত লাখই পাবেন দান হিসেবে। সে হিসেবে নিজের মাত্র এক লাখ টাকা খরচ করতে হবে তাঁকে। আর আয়ের উৎস হিসেবে রয়েছে আইন পেশার উল্লেখ।
হলফনামায় ব্যয়ের সম্ভাব্য খাতও উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে পোস্টারের জন্য আনুমানিক আড়াই লাখ টাকা, ২৫০টি ক্যাম্প অফিস স্থাপনে ৬০ হাজার টাকা, এসব অফিসে কর্মীদের পেছনে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ক্যাম্প বা অফিসের জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার টাকা। প্রার্থী, তাঁর এজেন্ট ও কর্মীদের যাতায়াত বাবদ খরচ ধরা হয়েছে ৯৫ হাজার টাকা।
ঘরোয়া বৈঠকের ভেন্যুর খরচ, শ্রমিকের পারিশ্রমিক ও আসবাবপত্রের ভাড়াসহ এই খাতে খরচ হতে পারে ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা। লিফলেট বাবদ খরচ ধরা হয়েছে এক লাখ ২০ হাজার টাকা। হ্যান্ডবিলের খরচ ৬০ হাজার টাকা, ব্যানারের খরচ ৬৭ হাজার টাকা, ডিজিটাল ব্যানারের জন্য ৮০ হাজার টাকা, পথসভার জন্য ধরা হয়েছে এক লাখ টাকা এবং মাইকিং বাবদ ৮৫ হাজার টাকা।
নির্বাচনি প্রতীকের জন্য ধরা হয়েছে ২০ হাজার টাকা, অফিস আপ্যায়ন বাবদ নয় হাজার টাকা, কর্মীদের দৈনিক আপ্যায়নের জন্য এক লাখ আট হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রচারণা বাবদ ৭০ হাজার টাকা এবং বিবিধ সর্বমোট খরচ ধরা হয়েছে এক লঅখ ৩৫ হাজার টাকা।
গত ২৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া নির্বাচনী ব্যয় বিবরণে এসব কথা উল্লেখ করেছেন সাখাওয়াত হোসেন।
২০১১ সালের ৫ মে নারায়ণগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ ও কদমরসুল এ তিনটি পৌরসভা বিলুপ্ত করে ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত হয় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। একই বছর ৩০ অক্টোবর প্রথমবারের মতো সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমানকে পরাজিত করে সিটির প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন সেলিনা হায়াৎ আইভি। তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী যিনি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে আইভি বিলুপ্ত হওয়া নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন।