'রাষ্ট্রের উসকানিতে বেপরোয়া ধর্ষকরা'
পুলিশপ্রধান যৌন নিপীড়নকে ‘দুষ্টুমি’ বলে চিহ্নিত করে ধর্ষক ও যৌন নিপীড়কদের উসকে দিয়েছেন উল্লেখ করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) অভিযোগ করেছে, ‘রাষ্ট্রের উসকানি ও মদদে ধর্ষকরা এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।’
আজ শনিবার বিকেলে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা ২১ বছর বয়সী এক গারো নারীকে পাঁচ যুবক জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে গণধর্ষণ করে। পরে মধ্যরাতে তাঁকে রাস্তায় ফেলে দেয় ধর্ষকরা।
ঘটনার তীব্র ধিক্কার ও নিন্দা জানিয়ে সিপিবির এ বিবৃতি আসে আজ গণমাধ্যমের কাছে।
বিবৃতিতে সিপিবির নেতারা বলেন, ‘একের পর এক ধর্ষণ, যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে। ধর্ষণ-নিপীড়নের কোনো ঘটনারই বিচার হচ্ছে না। অপরাধীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। সরকার নির্বিকার। প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। উপরন্তু নিপীড়নের বিচারপ্রার্থীদের আক্রান্ত হতে হচ্ছে। পুলিশপ্রধান যৌন নিপীড়নকে ‘দুষ্টুমি’ বলে চিহ্নিত করে ধর্ষক-যৌন নিপীড়কদের উসকে দিয়েছেন। রাষ্ট্রের উসকানি ও মদদে ধর্ষকরা এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।’
‘বিচারহীনতার ধারায় এখন দেশ চলছে’ উল্লেখ করে সিপিবি নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন, “ধর্ষক-নিপীড়কদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে কি সরকার দেশকে ধর্ষক-নিপীড়কদের ‘অভয়ারণ্যে’ পরিণত করতে চায়?”
‘সরকার যেখানে নির্বিকার, সেখানে জনগণকে নিজের শক্তির ওপর নির্ভর করতে হবে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে। ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক লড়াই তীব্র করতে হবে।’ বলা হয় বিবৃতিতে।
শুক্রবার নির্যাতিত ওই নারী ভাটারা থানায় মামলা করেন। আজ শনিবার তাঁর মেডিকেল পরীক্ষা হয়েছে। এতে গণধর্ষণের আলামত মিলেছে বলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক জানিয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় জড়িত- এমন একজনের নাম পাওয়া গেছে।