জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা স্থগিত চান খালেদা জিয়া
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আবার সাক্ষ্য নেওয়ার আবেদন খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন দায়ের করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আবেদনে তিনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার পক্ষে আবেদনটি দাখিল করেন অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ভূঁইয়া।
গত বৃহস্পতিবার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রাষ্ট্রপক্ষের ৩২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য আবার নেওয়ার আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ওই আবেদনে বলা হয়, শপথের বিধান অনুযায়ী এই সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়নি। তাই এই সাক্ষ্য বাতিল করে নতুন সাক্ষ্য নেওয়া হোক।
কিন্তু তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার শুনানি শেষে এই আবেদন খারিজ করে দেন। এই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন আবেদন করলেন খালেদা জিয়া।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।
জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক হারুন-অর-রশিদ।
ওই মামলার অন্য আসামিরা হলেন—খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।