শফিক রেহমানকে বিচারিক আদালতে যেতে বললেন আপিল বিভাগ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যাচেষ্টার মামলায় জামিন নেওয়ার জন্য সাংবাদিক শফিক রেহমানকে বিচারিক আদালতে যেতে বলেছেন আপিল বিভাগ।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যর বেঞ্চ আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
একই সঙ্গে শফিক রেহমানের জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনায় নিতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
এর আগে চলতি বছর গত ৩১ আগস্ট আপিল বিভাগ ব্রিটিশ ও বাংলাদেশি পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে শফিক রেহমানকে তিন মাসের জামিন দেন। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর তিনি মুক্তি পান। সেই জামিনের মেয়াদ গত ৩০ নভেম্বর শেষ হলে আপিল বিভাগের আদেশে সংশোধন ও জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য শফিক রেহমান একটি আবেদন করেন।
সেই আবেদন নিষ্পত্তি করে আজ আপিল বিভাগ শফিক রেহমানকে বিচারিক আদালতে যেতে বলেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অপরদিকে, শফিক রেহমানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও মো.আসাদুজ্জামান।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, জামিনের জন্য এখন শফিক রেহমানকে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে যেতে হবে।
আর শফিক রেহমানের আইনজীবী আসাদুজ্জামান বলেন, ৩০ নভেম্বর শফিক রেহমানের জামিনের মেয়াদ শেষ হয়। এর আগে আপিল বিভাগ তাকে তিন মাস অথবা পুলিশ প্রতিবেদন, যা আগে হয় সেই পর্যন্ত জামিন দেন। তবে গত ১৫ নভেম্বর আদেশ সংশোধন করে তিন মাস অথবা পুলিশ প্রতিবেদন, যেটা পরে হয় সে পর্যন্ত জামিন মঞ্জুরের আবেদন করেন। পরে এর সঙ্গে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনও করা হয়। আজ আদালত তাঁর আবেদন নিষ্পত্তি করে শফিক রেহমানকে বিচারিক আদালতে জামিন আবেদন করতে বলেছেন। একইসঙ্গে এ আবেদন বিবেচনা করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, এই মামলায় আগামী ১৪ ডিসেম্বর বিচারিক আদালতে এ মামলার শুনানির দিন নির্ধারণ আছে।
চলতি বছর গত ১৬ এপ্রিল রাজধানীর ইস্কাটনের বাসা থেকে শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ করে হত্যাচেষ্টা পরিকল্পনার অভিযোগে করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এরপর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত এই মামলায় শফিক রেহমানের জামিন নাকচ করেন। ২৫ মে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তিনি। ৭ জুন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শফিক রেহমানের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।
পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের জন্য অনুমতি প্রার্থনা) করলে ১৭ জুলাই নিয়মিত আপিলের অনুমতি পান শফিক রেহমান। সেই আপিল গ্রহণ করে ৩১ আগস্ট তাঁকে জামিন দেন আপিল বিভাগ।