বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক উন্নয়নে আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী উল্লেখ করে বলেছেন, ‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে দুই দেশের আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত।’
গতকাল রোববার (২৮ মে) চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় তিনি এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত–আমরা দেশকে কীভাবে আরও উন্নত করতে পারি।’
চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রী বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও হাইটেক সহযোগিতা জোরদার করতে আগ্রহী। এ ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘চীনের উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি বরাদ্দ করেছে এবং তারা সেখানে শিল্প স্থাপন করতে পারে।’
চীনের উপমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীনা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান। বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘প্রায় ১০ বছর আগে বাংলাদেশ সফর করেছি। তবে, এবার বাংলাদেশকে অনেক বেশি উন্নত দেখেছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। পদ্মা সেতু এবং বাংলাদেশে চীনের সহায়তায় নির্মিত আরও পাঁচটি প্রকল্প পরিদর্শন করেছি।’
প্রধানমন্ত্রীও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে তাঁর ব্যক্তিগত শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ‘প্রায় ছয় হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী চীনে পড়াশোনা করছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই কোভিড মহামারির সময় দেশে ফিরে এসেছেন।’
শেখ হাসিনা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে মহামারির পরে সে দেশে ফিরে যেতে সহায়তা করার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসাডর-এটলার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম ও বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন উপস্থিত ছিলেন।