দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেকের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

আজ সোমবার (২৯ মে) দুপুরে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় এ আদেশ দেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন চিরিরবন্দর উপজেলার দক্ষিণ শুকদেবপুর গ্রামের আফজাল হোসেন ও উত্তর ভোলানাথপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ এবং উত্তর ভোলানাথপুর গ্রামের শামশুল ওরফে শামসুল হক। রায় ঘোষণার সময় তাঁরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বাদী আরজিনা বেওয়ার এজাহার সূত্রে জানা যায়, তাঁর স্বামী তজিমুদ্দিন ১৯৯৭ সালের ৩১ জুলাই কারেন্টহাটে সামসুদ্দিনের মিলে পাহারা দেওয়ার জন্য যান। এরপর তিনি নিখোঁজ হন। ৩ আগস্ট বাড়ির অদূরে দামুদার পুকুরে তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় স্ত্রী আরজিনা বেওয়া ওই বছরের ৬ আগস্ট চিরিরবন্দর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাত জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলা তদন্ত শেষে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দেয়। এরমধ্যে একজন আসামির মৃত্যুর কারণে তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া আসামি আব্দুল কাফির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাঁকে খালাস দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট হাসনে ইমাম নয়ন ও মোস্তাফিজুর রহমান টুটুল এবং আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ।