সুন্দরবনে মাছ ধরা ও পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা শুরু
বন্যপ্রাণী ও মাছের প্রজনন মৌসুম শুরু হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) থেকে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে জেলেদের মাছ শিকার ও পর্যটকবাহী নৌযান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
দুই লাখ ৪৩ হাজার হেক্টর আয়তনের সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগে ৩১ শতাংশ জলভাগে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪২০টি নদী-খালে মাছের ও ৬৯ শতাংশ স্থলভাগের বনের অভ্যন্তরে বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণীর প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বনবিভাগ।
সুন্দরবনে ২৯১ প্রজাতির মাছ ও ৩১৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।
ইলিশসহ ৪৭৫ প্রজাতির মাছের প্রজনন মৌসুম শুরু হওয়ায় ২ মে থেকে বঙ্গোপসাগরে জেলেদের মাছ আহরণ বন্ধ রয়েছে। সাগরে মাছ ধরার ক্ষেত্রে মৎস্য অধিদপ্তরের এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত। প্রজনন মৌসুমকে ঘিরে বনবিভাগ ও মৎস্য অধিদপ্তরের এ নিষেধাজ্ঞার ফলে মোংলায় সাগর ও সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল ১০ হাজার জেলে পরিবার কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘সুন্দরবনের মাছের ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন মৌসুম শুরু হওয়াতে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ শিকার ও পর্যটকবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। এই তিন মাস সুন্দরবনে পর্যটকদের ভ্রমণও বন্ধ থাকবে।’
মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘সফলভাবে এ নিষেধাজ্ঞা পালন করা গেলে মাছের প্রজনন, উৎপাদন ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন নিরাপদ হবে। এতে বাড়বে মাছের পরিমাণ ও বৃদ্ধি পাবে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা।’