প্রাথমিকে ভর্তির হার ৯৮ শতাংশ : অর্থমন্ত্রী
‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেল ৩টার দিকে জাতীয় সংসদে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ গড়ার কথা তুলে ধরে বাজেট পেশ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বাজেট উত্থাপনের সময় সামাজিক খাতের অগ্রগতির বিষয়ে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় প্রাথমিকে ভর্তির হার ৯৮ শতাংশ বলে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
এসময় আরও বলা হয়, ২০০৮ সালে শিক্ষার হার ছিল ৫৫ দশমিক আট শতাংশ। ২০২১ সালে (সাত বছর ও তদূর্ধ্ব জনসংখ্যার) শিক্ষার হার উন্নীত হয়েছে ৭৬ দশমিক চার শতাংশ। এ ছাড়া, কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার ২০১০ সালের এক শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ১৭ দশমিক দুই শতাংশ হয়েছে।
এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভা কক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভায় বিশেষ প্রস্তাবিত বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়। আজ ১২টার দিকে জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভাকক্ষে এই বৈঠক শুরু হয়ে চলে দুপুর পর্যন্ত। এরপর মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত বাজেট সংসদে উপস্থাপনের অনুমতি দিয়ে তাতে সম্মতিসূচক স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আজ বঙ্গভবনের পরিবর্তে জাতীয় সংসদ ভবনে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে অফিস করেন তিনি।
স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২তম এই বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি তার পঞ্চম বাজেট ঘোষণা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট।
এবারের বাজেটের মূল শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘উন্নয়নের দীর্ঘ অগ্রযাত্রা পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে।’ মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ লাখ তিন হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের ব্যয় চালাতে এনবিআরকে চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের টার্গেট দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় এক লাখ এক হাজার ২৭৮ কোটি টাকা বেশি।