বাজেট সরকার দিচ্ছে নাকি আইএমএফ দিচ্ছে, প্রশ্ন আমীর খসরুর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট সরকার দিচ্ছে নাকি আইএমএফ দিচ্ছে, তা দেখতে হবে। আইএমএফ এর শর্ত অনুযায়ী, তাদের বাজেট দিলে সরকার লুটপাট করতে পারবে না, আর যদি আইএমএফ এর পরামর্শ অনুযায়ী বাজেট না করে, সে ক্ষেত্রে আইএমএফ এর সাপোর্ট পাবে না।
বনানীতে আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেলে তার নিজের বাসায় জাতীয় বাজেট প্রস্তাবের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় আমীর খসরু এসব কথা বলেন।
প্রস্তাবিত বাজেটকে লুটপাট ও অর্থপাচারের জন্য স্মার্ট বাজেট আখ্যা দিয়ে আমীর খসরু বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পৃষ্ঠপোষকতার অর্থনীতি গড়ে তুলছে। লুটপাট, অর্থপাচারের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট নিঃসন্দেহে স্মার্ট।
খসরু বলেন, ভাড়া, চাঁদা আর কমিশন ভিত্তিক অর্থনীতি করছে সরকার। যার দায়ভার জনগণকে দিতে হচ্ছে। সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে লুটপাটে পরিণত করেছে। আওয়ামী অর্থনীতি বাস্তবায়নে স্মার্টলি লুটপাটের জন্য বাজেট দিয়েছে সরকার। বড় আকারের বাজেট দিয়ে মূলত ঋণ নিয়ে ঘি খাচ্ছে সরকার, এর বোঝা জনগণকে বহন করতে হবে। ৫২% ঋণ বেড়েছে গত ৭ বছরে, যার দায় বইতে হবে আগামী প্রজন্মকে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ৪২% মানুষ দরিদ্রতার মধ্যে আছে, নতুন করে আরও দরিদ্র হচ্ছে। ঢাকায় নতুন দরিদ্র হয়েছে ৫২ শতাংশ। আওয়ামী লীগের অর্থনীতিতে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা লাভবান হবে, জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আওয়ামী লীগের লুটপাটের এ বাজেটে অর্থনীতি বিপাকে পড়েছে, দেশের জনগণ বিপদে পড়ছে।
আমীর আরও বলেন, বাজেটে সাধারণ মানুষের ওপর করের চাপ বাড়বে। অনেক মানুষ এক বেলা খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে। তাদের স্বাস্থ্য সেবা সীমিত করেছে। যারা ধনী হচ্ছে তাদের কর দিতে হচ্ছে না।
খসরু বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে গেলে সরকারের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ কমাতে হবে, টাকার মান বাড়াতে হবে ডলারের বিপরীতে। লুটপাট বন্ধ করতে হবে। না হলে মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না। জিনিসপত্রের দাম কমানো সম্ভব হবে না। আগামীতে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য জনগণ আগ্রহী হয়ে আছে, সেখানে তারা এর জবাব দেবে।