দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তারের আদেশ বিএনপি নেতা আসলামকে
দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) নির্ধারিত সময়ে সম্পদের বিবরণী জমা না দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক আরাফাত হোসেন এ আদেশ দেন। এদিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৮ জুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক গত ২৮ মার্চ মো. আসাদুজ্জামান আসলাম চৌধুরীর অনুপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
নথি থেকে জানা গেছে, গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আদালতে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার দক্ষিণ ভাটিয়ারির বাসিন্দা আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী জমিলা নাজনীন মাওলার বিরুদ্ধে কয়েকশ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত করেছে দুদক।
২০১৯ সালের ১৩ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক ঋত্বিক সাহা চট্টগ্রাম কারাগার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে একটি নোটিশ জারি করে কারাবন্দি আসলাম চৌধুরীকে ৭ দিনের মধ্যে তার সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলে। ওই বছরের ২৩ জুন আসলাম চৌধুরীকে নোটিশ দেয় চট্টগ্রাম কারাগার কর্তৃপক্ষ।
ওই বছরের ১ জুলাই আসলাম চৌধুরী সম্পদের হিসাব দুদকে জমা দিতে ৩ মাস সময় চেয়েছিলেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক তাকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য মোট ৩৬ দিন সময় দেয়।
আসলাম চৌধুরী ২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট আবার এই বিষয়ে আরও ৩ মাস সময় চেয়ে আরেকটি আবেদন জমা দেন। তবে ওই বছরের ১৫ অক্টোবর দুদক কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আসলাম চৌধুরীকে জানায়, আর কোনো সময় বাড়ানো হবে না এবং বেশ কয়েকবার সময় বাড়ানোর আবেদন করা সত্ত্বেও তিনি নির্ধারিত সময়ে নথি জমা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।