পায়রায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ
কয়লার অভাবে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে দেশের সবচেয়ে বড় পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন। আজ সোমবার (৫ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর থেকে এবারই প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হলো। কয়লা সংকটে গত ২৫ মে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির একটি ইউনিট বন্ধ হয়েছিল, আজ বন্ধ হয়েছে অবশিষ্ট ইউনিটের উৎপাদন।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানান, ইতোমধ্যে কয়লা আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১ জুলাই থেকে আবারও উৎপাদনে যাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। এখানে প্রতিদিন প্রায় ১৩ হাজার মেট্রিক টন কয়লা দরকার হয়। বৈশ্বিক মন্দায় চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত কয়লা আমদানিতে ৩৯ কোটি ডলার বকেয়া হয়। বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এতে কয়লা সংকটে পড়ে গত ২৫ মে বন্ধ হয় যায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির একটি ইউনিটের উৎপাদন। ফলে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমে যায় এবং দেশব্যাপী শুরু হয় লোডশেডিং।
তীব্র গরমের মধ্যে দিনের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ না পেয়ে নাকাল সাধারণ মানুষ। জনজীবনে নেমে আসে চরম অস্বস্তি। সদর রোডের ব্যবসায়ী সুবল কর্মকার বলেন, ‘দিনের মধ্যে আট থেকে ১০ বার লোডশেডিং হয়। এই গরমের মধ্যে প্রতিবার এক থেকে দেড় ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে আমরা খুবই কষ্টে আছি।’
পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (অপারেশন) শাহ আব্দুল হাসিব বলেন, ‘সময়মতো কয়লা আমদানি করতে না পারায় আজ (৫ জুন) সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিটেরও উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও ডলার সংকটের কারণে আমাদের এলসি খুলতে একটু দেরি হয়েছে। এটি সাময়িক সংকট। আগামী ২৫ জুনের মধ্যে কয়লাবাহী জাহাজ আমাদের জেটিতে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। জাহাজ আসার তিন থেকে চার দিনের মধ্যে কয়লা আনলোড করে আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে ইউনিটগুলো চালু করতে পারব।’