চলমান মামলার শীর্ষে ঢাকা, কম খাগড়াছড়িতে
দেশের আদালতগুলোতে বর্তমানে ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ৬৭০টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। সংখ্যা বিচারে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা। জেলাটিতে চলমান রয়েছে পাঁচ লাখ ৪৪ হাজার ৩৩টি মামলা। আর সবচেয়ে কম মামলা চলমান পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে। এ জেলায় বিচারাধীন মাত্র ছয় হাজার ৬৩০টি মামলা।
আজ সোমবার (৫ জুন) এসব তথ্য জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে দেশের আদালতে কত মামলা চলমান রয়েছে তা আইনমন্ত্রীর কাছে জানতে চান সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ। এই প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে প্রশ্নটি উপস্থাপন করা হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের অধস্তন আদালতগুলোতে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ৬৭০টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে দেওয়ানি মামলার সংখ্যা ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ১৬০টি। আর ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ২০ লাখ ৮৬ হাজার ৫১০টি।’
আনিসুল হক বলেন, ‘দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ঢাকায় সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ ৪৪ হাজার ৩৩টি মামলা চলমান রয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চট্টগ্রামে। এ জেলায় চলমান রয়েছে দুই লাখ ৭১ হাজার ৬০৬টি মামলা। খাগড়াছড়িতে সর্বনিম্ন ছয় হাজার ৬৩০টি মামলা চলমান রয়েছে।’
এদিকে, গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কত মামলা ও গ্রেপ্তার হয়েছে তা আইনমন্ত্রীর কাছে জানতে চান। এর জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হয়। সেই বছরের ৮ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকর হয়। এর তিন দিনের মাথায় ১১ অক্টোবর প্রথম এই আইনের অধীনে মামলা হয়। সেই শুরু থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে সাত হাজার একটি।’
তবে, কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা জানাতে পারেননি আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এই আইনে এ পর্যন্ত কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সংশ্লিষ্ট। প্রশ্নটি সচিবালয় নির্দেশমালা ২০১৪ এর অনুচ্ছেদ ২১৩ (২) অনুযায়ী জননিরাপত্তা বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘বর্তমান সরকার বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি লাঘবের জন্য একটি আধুনিক বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে সারাদেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা একটি সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে এবং মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কার্যকর ও দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধিত হবে।’