প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দুই প্রতিবেশী দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা উচিত।’

গতকাল মঙ্গলবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

শেখ হাসিনা তার সরকারের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিপসট) স্থাপনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘পারস্পরিক কল্যাণে এখানে দুই দেশের মধ্যে কর্মকাণ্ড বিনিময়ের সুযোগ রয়েছে।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার, সেনাবাহিনী ও সেদেশের জনগণের সমর্থন ও ভূমিকার কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।

দারিদ্র্যকে ‘প্রধান শত্রু’ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দারিদ্র্য এই অঞ্চলের জনগণের প্রধান শত্রু এবং এই অঞ্চলের দেশগুলোকে দারিদ্র্য দূর করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিরাজ করছে। এই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’

বাংলাদেশকে অধিক জনসংখ্যার দেশ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও সম্পদ সীমিত থাকা সত্ত্বেও দেশকে আর্থ-সামাজিকভাবে এগিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে।’

বৈঠকে ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেন, ‘প্রতিরক্ষা শিল্প খাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতা খুব ভালোভাবে এগিয়ে চলেছে।’

জেনারেল মনোজ পাণ্ডে এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আগামী দিনেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। প্রযুক্তিগত ও অন্যান্য ক্ষেত্রে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করার সম্ভাবনা রয়েছে।’ পারস্পরিক সুবিধার জন্য এই সুযোগগুলিকে কাজে লাগানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।

জেনারেল মনোজ পাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তিনি চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি পরিদর্শন করেছেন এবং সেখানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছেন। এ সময় অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।