বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিক্ষোভ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
অসহনীয় লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট সমাধানের দাবিতে ১৯ জুন বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। এছাড়া গত ৪ থেকে ৭ জুন পর্যন্ত দিনাজপুর অভিমুখে অনুষ্ঠিত রোডমার্চে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষমতাসীন দলের হামলার প্রতিবাদে গণতন্ত্র মঞ্চ সোমবার (১২ জুন) ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে।
আজ রোববার (১১ জুন) সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনের মেহরাব প্লাজায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সাইফুল হক বলেন, ‘অসহনীয় লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট সমাধানের দাবিতে আগামী ১৯ জুন বেলা ১১টায় আমরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিক্ষোভ করব। এছাড়া রোড মার্চে হামলা ও বাধার প্রতিবাদে আমরা সোমবার (১২ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করব।’
দিনাজপুর অভিমুখে অনুষ্ঠিত রোড মার্চে হামলা ও বাধা প্রদানের বিষয়ে সাইফুল হক বলেন, ‘ওই সব হামলার ঘটনা প্রমাণ করে আওয়ামী লীগ সরকার এখন এক গণ-আতঙ্কে ভুগছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ-মিছিলেও তারা বেসামাল হয়ে পড়েছে।’
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক বলেন, ‘এখনও তারা যে দমন করেই গদি টিকিয়ে রাখতে চায়, তা পরিষ্কার। এই কাজে প্রশাসনকে তারা দলীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করতেই তৎপর, আমাদের গত ৪ জুন থেকে ৭ জুনের রোড মার্চের ঘটনাগুলো তা আরেকবার প্রমাণ করেছে।’
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘সরকার, পুলিশ প্রশাসন ও সরকারি দলের এত সব বাধা, হামলা, আক্রমণ, উসকানি ও ত্রাস সৃষ্টির পরেও রোড মার্চের পথে পথে আমরা মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন, সহযোগিতা ও ভালোবাসা পেয়েছি। প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে সমাবেশগুলোতে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে। বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন অবসানে তারা তাদের মরিয়া লড়াইয়ের মনোভাবের বার্তা দিয়েছে।’
সাইফুল হক আরও বলেন, ‘জনগণ অনতিবিলম্বে দুর্নীতিবাজ, গণবিরোধী, ভোটের অধিকারহরণকারী গায়ের জোরে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকা এই সরকারের কবল থেকে মুক্তি চায়। মানুষ কোনোভাবে আর এই সরকারকে নিতে পারছে না। তারা সত্যিকারের একটি পরিবর্তনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।’
সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, শহীদুল্লাহ কায়সার, সাকিব আনোয়ার, শাহনাজ রানু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, কাজী মো. নজরুল, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, বাচ্চু ভুঁইয়া, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, মাহবুব জামান কাদেরী, জেএসডির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির বহ্ণিশিখা জামালী ও আকবর খান উপস্থিত ছিলেন।