বাংলাদেশকে কেউ পেছনে ঠেলে দিতে পারবে না : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা যদি শিশুদের মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিই, তাহলে কেউ বাংলাদেশকে পেছনে ঠেলে দিতে পারবে না।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে আজ রোববার (১১ জুন) অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তি, টিউশন ফি ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সরকার গবেষণা ও উদ্ভাবন বাড়াতে উপবৃত্তি দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শিশুরা খুবই মেধাবী এবং তাদের মেধা বিকাশে উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে, যা আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখবে। এতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল প্রতিভা অন্বেষণ মেধা বিকাশে একটি মহৎ উদ্যোগ; যেখান থেকে অনেক মেধাবী শিশু বের হয়ে আসছে। আজ আমাদের শিশুরা তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পেয়েছে এবং এখন তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা প্রকাশ পাচ্ছে। কেউ আমাদের দেশকে পেছনে ঠেলে দিতে পারবে না, অন্ধকারে ফেলে দিতে পারবে না।’
এসময় শিক্ষার্থীদের কারও কাছে মাথা নত না করে বিশ্ব মঞ্চে আত্মমর্যাদার সঙ্গে আবারও মাথা উঁচু করে দেশকে এগিয়ে নিতে সঠিকভাবে নিজেকে গড়ে তোলার পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব ইনশাল্লাহ। এই বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতি এগিয়ে যাবে, আত্মমর্যাদা ও আত্মসম্মান নিয়ে বিশ্ব অঙ্গনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। আমরা কারো কাছে মাথা নত করব না। এটি আমাদের অঙ্গীকার।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব সময় এ কথা মনে রাখতে হবে যে, এ জাতি বীরের জাতি। তারা কারও কাছে মাথা নত করে না। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা পথ দেখিয়েছি। আমাদের মেধাবী শিশুরা এই পথেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে এই দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ো তোলা হবে। এই দেশে থাকবে স্মার্ট জনগণ, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজ।
আজকের যুগ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গবেষণার যুগ।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্যে নিজেদের প্রস্তুত করতে বলেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা সব সেক্টরে এগিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু, আমাদের গবেষণা একটি ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে, আর তা হলো স্বাস্থ্য খাত। আমরা চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণায় গুরুত্ব দিচ্ছি। আমি মনে করি এটিকে আরও গুরুত্ব দেওয়া দরকার।’