বিদেশে অদক্ষ শ্রমিকের বাজার নেই : প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, ‘বর্তমান বিশ্বে অদক্ষ শ্রমিকের কোনো বাজার নেই। দক্ষ শ্রমিকের উপযোগিতা এবং কদর বৃদ্ধি পেয়েছে।’ আজ রোববার দুপুর ১২টায় নওগাঁর রানীনগর উপজেলা সদরে নবনির্মিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে দক্ষ শ্রমিকের উপযোগিতা এবং কদর বৃদ্ধি পাওয়ার উপলব্ধি থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মানুষের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষে সারা দেশে সব উপজেলায় টিটিসি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে।’
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকার দক্ষ কৃষকদেরও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ ক্ষেত্রে কৃষকদেরও দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলেন, বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে হবে। তাঁর এই নির্দেশনা মোতাবেক এসব ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। ধাপে ধাপে প্রতিটি উপজেলায় জনগণের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য টিটিসি স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে এমন অবস্থায় নিয়ে যেতে হবে যাতে প্রশিক্ষিত হয়ে বের হলেই বিদেশে পাঠানো সম্ভব হয়।’
আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করেছিলেন। এখন বাংলাদেশের মানুষ শতভাগ সে সুবিধা ভোগ করছে। প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছেন।’
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ-৬ আত্রাই-রানীনগর আসনের সংসদ সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন হেলাল, প্রকল্প পরিচালক সাইফুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. গাজিউর রহমান।
উপজেলায় টিটিসি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান, রাননীগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদত হোসেন।
সারা দেশে ৪০টি টিটিসি ও একটি আইএমটি স্থাপন প্রকল্পের আওতায় জেলা গণপূর্ত অধিদপ্তর মোট ৩৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। ছয় মাস মেয়াদি ছয়টি ট্রেডে মোট ৮৮০ জন প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবে।