ময়মনসিংহ সিটির নান্দনিকতায় বসছে সড়কবাতি
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) নান্দনিকতায় এগিয়ে চলছে সড়কবাতি স্থাপনের কাজ। প্রায় ৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে ১৭১ কিলোমিটার সড়কে জিআই পোলসহ এলইডি বা সিএফএল বাতি, সোলার বাতি স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
ইতোমধ্যে ছয় হাজার ৮৯০টি জিআই পোল, ৩৫৮টি সোলার প্যানেলসহ সড়কবাতি স্থাপন করা হয়েছে। ৩৫৮টি সোলার প্যানেলসহ সড়কবাতি, জয়নুল আবেদিন পার্কের অভ্যন্তরে ২৭০টি গার্ডেন লাইট স্থাপন করা হয়েছে। সড়কবাতি স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণে ক্রয় করা হয়েছে একটি বুম লিফটার, যা ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করেছে।
এরই মধ্যে সিটির ৩৩টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন সড়কে সড়কবাতি জ্বলে উঠতে শুরু করেছে। এতে আরও আলোকিত এবং আরও নিরাপদ হয়েছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন। এ ছাড়া জয়নুল আবেদিন পার্ক, শম্ভুগঞ্জ ব্রিজসহ বিভিন্ন সড়কে আধুনিক এলইডি লাইট স্থাপনের ফলে সড়কে আলোক ও নান্দনিকতার যে পরিবর্তন এসেছে, তা নাগরিকমহলে প্রশংসিত হচ্ছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যেমন গাঙিনাপাড়, দুর্গাবাড়ী, নতুনবাজার, চরপাড়া এলাকার সড়ক এবং সিটি করপোরেশনের প্রবেশমুখের সড়কে নান্দনিক সড়কবাতি সিটি করপোরেশনের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তুলেছে বহুগুণ।
এ প্রসঙ্গে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকার সড়কবাতি স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘প্রকল্পের মালামাল আনা হয়েছে পোলান্ড থেকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য কাজের গতি বেশ খানিকটা থমকে গিয়েছিল। এজন্য সময় বেশি লেগেছে। তারপরও কাজ শেষ পর্যায়ে আনতে পেরে আমরা আনন্দবোধ করছি। এ প্রকল্পের আওতায় সিটির অনেক এলাকাকে আলোকিত করা সম্ভব হলেও বর্ধিত এলাকার অলিগলিতে সড়কবাতির সুবিধা পৌঁছে দিতে এরূপ অন্য প্রকল্পের মাধ্যমে আলোকিতকরণে আরও বরাদ্দ প্রয়োজন।’
মসিক মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘আমি জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই জনগণের জন্য যা কিছু ভালো তা করার চেষ্টা করছি। তবে নানা সময় সীমাবদ্ধতার কারণে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। নগরব্যাপী সড়কবাতির পূর্ণ নেটওয়ার্কের জন্য আরও কাজ করতে হবে। এজন্য আরও অর্থ দরকার। তবে নগরবাসীর চাহিদা অনুযায়ী আলোকিত নগর উপহার দিতে আমার সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’