নাইকো দুর্নীতি মামলা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি পেছাল
নাইকো দুর্নীতি মামলা বাতিল চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি পিছিয়ে ১৬ জুলাই নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিচারপতি মোস্তাফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির এ দিন ধার্য করেন। বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অবকাশকালীন ছুটি বিবেচনায় এ তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।
এর আগে গত ১৯ মার্চ নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান। সেই সঙ্গে মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৩ মে দিন ধার্য করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ মার্চের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন—তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এ ছাড়া, সাবেক আইনমন্ত্রী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন এই মামলায় আসমি থাকলেও তারা মারা যাওয়ায় অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।
পরের বছর ২০০৮ সালের ৫মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। সেখানে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে ৩৭টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাঁর ১০ বছরের ও জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় সাত বছরেরর সাজা হয়।
ওই দুই মামলায় সাজা খাটার মধ্যেই পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালের মার্চে সাজা স্থগিত করে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। বাসায় থেকে চিকিৎসা করার ও বিদেশে না যাওয়ার শর্তে তিনি গুলশানের বাসায় থাকছেন।