চার মাসে মাদক মামলায় ৪১ হাজার আসামি কারাগারে
চলতি বছরের প্রথম চার মাসে দেশে মাদক মামলা হয়েছে ৩৩ হাজার ১৮৬টি। এসব মামলা কারাগারে গিয়েছেন ৪১ হাজার ৯৮ জন। কারাগারে যাওয়া সবাই মাদক কারবারি। এসব তথ্য জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ মঙ্গলবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির এমপি মুজিবুল হক চুন্নুর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে এই অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের তরুণ ও যুব সমাজকে ইয়াবা এবং অন্যান্য মাদক থেকে রক্ষার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। তার ঘোষণা বাস্তবায়নকল্পে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরসহ সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘২০২২ সালে এক লাখ ৩২১টি মাদক মামলা করা হয়েছিল। এসব মামলায় এক লাখ ২৪ হাজার ৭৭৫ মাদক কারবারিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত অর্থাৎ, চার মাসে ৩৩ হাজার ১৮৬টি মামলায় ৪১ হাজার ৯৮ মাদক কারবারিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।’
মন্ত্রী জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০-কে যুগোপযোগী করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ প্রণয়ন করা হয়। পরবর্তীতে ২০২০ সালে এ আইনটি সংশোধন করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) প্রণয়ন করা হয়। এ আইনে মাদক অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘মাদকের মূলহোতা ও গডফাদারদের যথাযথ শাস্তি বিধান করে এ আইনে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের বিধানটি সংযুক্ত করা হয়। শুধু মাদক কারবারিই নয়, এ আইনে মাদক অপরাধের পৃষ্ঠপোষক, প্ররোচণা দানকারী ও সহযোগীদের বিরুদ্ধেও কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এ আইনের যথাযথ প্রয়োগে সর্বমহল সোচ্চার হলে সমাজে মাদক অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব হবে।’