আপাতত বিচারপতি পদে ফিরছেন না আলতাফ-শিবলী
সাবেক অতিরিক্ত বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেন ও ফরিদ আহমেদ শিবলীর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিতে করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। আজ বুধবার (১৪ জুন) সকালে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন।
পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে পর্যবেক্ষণে কি বলা হয়েছে তা জানা যাবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।
পরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, ‘আপিল সর্বোচ্চ আদালত নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। এ কারণে তাদের বিচারপতি পদে ফেরার সম্ভাবনা আপাতত নেই। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে বিস্তারিত জানা যাবে।’
এর আগে সাবেক অতিরিক্ত বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনকে হাইকোর্টে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিতে করা দুটি রিট আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আলতাফ হোসেন নিজে ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান রিট দুটি করেন। রিট দুটির শুনানি নিয়ে আদেশ দেন আদালত।
২০১২ সালের ১৩ জুন এ বি এম আলতাফ হোসেনসহ ছয়জনকে দুই বছরের জন্য হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। শপথ নেওয়ার দিন থেকে ওই নিয়োগ কার্যকর হবে জানানো হয়। পরদিন তারা শপথ নেন। ওই বছরের ৯ জুন তাদের মধ্যে পাঁচজনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বাদ পড়েন এ বি এম আলতাফ হোসেন।
আলতাফ হোসেনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান ২০১২ সালের জুলাই মাসে একটি রিট করেন। পরে আলতাফ হোসেন নিজে আরেকটি রিট করেন। বিচারপতি পদ থেকে বাদ পড়া ফরিদ আহমেদ শিবলী আরেকটি রিট করেন।
বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীসহ ১০ জনকে ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুই বছরের জন্য হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা ওই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি শপথ নেন। এদের মধ্যে বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরী মারা যান। এ অবস্থায় অপর ৯ জনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পাঠান তখনকার প্রধান বিচারপতি। এদের মধ্যে বিচারপতি শিবলীকে বাদ দিয়ে বাকি আটজনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
এ বিষয়ে ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরপর ওই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আটজন শপথ নেন। এ অবস্থায় বাদ পড়া বিচারপতি শিবলী স্থায়ী নিয়োগ পেতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ওই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি আদালত আবেদনটি নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন।
হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগে আবেদন করেন বিচারপতি শিবলী।