প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যানকে বিএনপিনেতা বলায় প্রতিবাদ
সদ্য প্রয়াত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানকে বিএনপিনেতা আখ্যা দিয়ে সম্মানহানির প্রতিবাদে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাঁর স্ত্রী। ওই ইউপি চেয়ারম্যান হলেন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় ইউনিয়নের প্রয়াত মিহির কান্তি রায়।
আজ শুক্রবার (১৬ জুন) দুপুরে জলিরপাড় গ্রামের নিজ বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলন করেন প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান মিহির কান্তি রায়ের স্ত্রী শেফালী রায়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শেফালী রায় বলেন, ‘আমার স্বামীর মৃত্যুর পর একটি কুচক্রী মহল তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে গুজব ও মিথ্যাচার করছে। ২০১৯ সালের মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপির কমিটির ১৩ নম্বর সিরিয়ালে যুগ্ম আহ্বায়ক জোহরা আলমের পদের এডিটিং করে আমার প্রয়াত স্বামীর নাম বসিয়ে যুগ্ম আহ্বায়ক বানিয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’
শেফালী রায় আরও বলেন, ‘আমার স্বামীর মৃত্যুতে অনুষ্ঠিত শোক সভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য খন্দকার মঞ্জুরুল হক লাভলুর বিরুদ্ধেও অপপ্রচার চালিয়েছে। তিনি নাকি ওই সভায় আমার স্বামীর স্থলে আমাকে জলিরপাড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ঘোষণা করেছেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ওই শোক সভায় তিনি নির্বাচন সংক্রান্ত একটি কথাও উচ্চারণ করেননি। এসব অপপ্রচার করে আমাকে ও আমার মৃত স্বামীকে জনগণের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে শেফালী রায় বলেন, ‘আমি যাতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে পারি এবং নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করতে না পারি—সেজন্য এ অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এ ধরনের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা এবং দোষীদের শাস্তি দাবি করছি।’
মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কাবির মিয়া সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মোকসেদপুরের কৃতী সন্তান ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির নেতা এবং অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক খন্দকার মঞ্জুরুল হক লাবলু শোকসন্তপ্ত ওই পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে তাদের পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু এটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে এই কুচক্রী মহল। এ ধরনের উদ্দেশ্যমূলক, ষড়যন্ত্রমূলক ও অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাবির মিয়া, ননিক্ষীর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ মুজিবুর রহমান, জলিরপাড় ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিকাশ বাগচী, সংরক্ষিত নারী সদস্য স্বপ্না বৈরাগী, হেনা রানী বালা, ইউপি সদস্য বিধান সরকার, ইলিয়াকিম কুন্দারসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।