বকশীগঞ্জ থানার সামনে সাংবাদিকদের অবস্থান
জামালপুরের বকশীগঞ্জে থানার সামনে সন্ত্রাসীদের হামলায় সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম নিহত হওয়ার ঘটনায় দোষীদের বিচারের দাবিতে অবস্থান ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৬ জুন) অবস্থান ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
অপর দিকে আজ দুপুরে বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষিয়া গোমেরচর গ্রামের নিজ বাড়িতে নিহত সাংবাদিক নাদিমের মরদেহ দাফন করা হয়। এরপর জেলা ও উপজেলার সাংবাদিকরা নাদিম হত্যার সঙ্গে জড়িত সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু ও নাদিমের উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বকশীগঞ্জ থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তা ছাড়া বিকেলে উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রধান সড়কে সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রতিবাদে ও ইউপি চেয়ারম্যান বাবুর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বকশীগঞ্জের সর্বস্তরের জনসাধারণের ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জুম্মান তালুকদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুমা ইয়াসমিন স্মৃতি, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রাজন মিয়া, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি শামীম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এ সময় বক্তারা সাংবাদিক নাদিমকে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ‘এখনও সাংবাদিক নাদিমের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা করা হবে এবং আটককৃতদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।’
পুলিশ সুপার নাছির উদ্দীন আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে আটক করা হয়েছে, বাকিদেরও শনাক্ত করা হয়েছে। আরও যারা জড়িত তাদেও ইতিমধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে। সবাইকে আটকে পুলিশের পাঁচটি টিম তিন দিন ধরে নিরলসভাবে কাজ করছে। নাদিমকে হত্যার জন্য যিনি নির্দেশদাতা মাহমুদুল আলম বাবু তাকে গ্রেপ্তারে আমাদের টিম কাজ করছে। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করতে পারব। আমি সাংবাদিক ও এলাকাবাসীসহ সবাইকে আশ্বস্ত করতে পারি, আমরা অতি শিগগিরই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আটক করে আইনের হাতে সোপর্দ করতে পারব।’
গত বুধবার রাতে বকশীগঞ্জে বাসায় ফেরার পথে উপজেলার পাথাটির এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন সাংবাদিক নাদিম। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে মারা যান তিনি। হামলার সঙ্গে জড়িত ৬ জনকে আটক করা হয়েছে, এদের মধ্যে চার জনের নাম জানা গেলেও বাকি দুই জনের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। আটক চার জন হলেন গোলাম কিবরিয়া সুমন, মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন, আইনাল হক ও কফিল উদ্দিন।