জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ : পরিবেশমন্ত্রী
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ইকোট্যুরিজম উন্নয়নে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। আজ শনিবার (১৭ জুন) নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার আলতাদীঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যানের দীঘি পুনঃখনন, দ্বিতল ডরমেটরি ভবন, স্যুভেনিরশপ, আরসিসি অবজারভেশন টাওয়ারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের মাঝে চেক প্রদানের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘সরকার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ইকোট্যুরিজম উন্নয়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ২৫ শতাংশ ভূমি বৃক্ষাচ্ছাদনের আওতায় আনতে দেশব্যাপী ব্যাপকভাবে গাছ লাগানো হচ্ছে। মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য বন সৃষ্টি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার কোনো বিকল্প নাই। তাই সবার জন্য একটা স্বাস্থ্যকর দেশ গড়তে সবাইকে গাছ লাগিয়ে তার যত্ন করতে হবে।’
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৯ সালে আলতা দীঘি জাতীয় উদ্যান পরিদর্শনে এসেছিলাম। তখন জানতে পারি, বন বিভাগের অফিসগুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে এবং উদ্যানের গাছপালার ঘনত্ব কম ও দীঘিতে পানি নেই। তখনই মনস্থির করি, এগুলোর উন্নয়ন করব। তারই আলোকে আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যানে দুটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে ‘রাজশাহী বরেন্দ্র অঞ্চলের পরিবেশ সুরক্ষা প্রকল্পের’ আওতায় আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যানের নিরাপত্তায় থাকা কর্মীদের জন্য ডরমেটরি ভবন, দর্শনার্থীদের জন্য স্যুভেনির শপ এবং ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর কিছুক্ষণ আগে স্থাপন করলাম। এ ছাড়া বনের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য রাস্তা নির্মাণসহ আরও অনেক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ক্রমান্বয়ে এ প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা লাগিয়ে জাতীয় উদ্যানে বনায়ন করে জীববৈচিত্র্য বৃদ্ধির কাজ চলমান রয়েছে।’
শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘কাজগুলো বাস্তবায়নে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যান হবে একটি ইকো ট্যুরিজম পর্যটন কেন্দ্র। এটি একটি আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে বিবেচিত হবে এবং স্থানীয় জনগণের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।’