দেশের শীর্ষ মাদক কারবারিদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
দেশের শীর্ষ মাদক কারবারিদের নাম-ঠিকানাসহ তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিজিকে এক মাসের মধ্যে এই তালিকা দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে মাদকের কারণে বছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকা পাচার হওয়ার ঘটনা অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার (১৮ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার মাদকের কারণে বছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকা পাচার হওয়ার ঘটনা অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় করা রিটে অর্থ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, এনবিআরকে বিবাদী করা হয়।
‘মাদক ব্যবসার কারণে বছরে পাচার পাঁচ হাজার কোটি টাকা’ শিরোনামে গত ১১ জুন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনগুলো সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে মাদকের কারণে প্রতিবছর পাচার হয়ে যায় ৪৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় পাঁচ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। আর মাদক কেনাবেচা করে অর্থপাচারের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে পঞ্চম। এশিয়ার দেশগুলো বিবেচনায় নিলে মাদকের মাধ্যমে টাকা পাচারের ঘটনায় বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে।
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাড তাদের ওয়েবসাইটে অবৈধ অর্থ প্রবাহসংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের নয় দেশের মাদকসংশ্লিষ্ট অবৈধ অর্থপ্রবাহের অনুমানভিত্তিক হিসেব তুলে ধরা হয়। তালিকায় থাকা অন্য দেশগুলো হলো—আফগানিস্তান, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, মালদ্বীপ, মেক্সিকো, মিয়ানমার, নেপাল ও পেরু।
আঙ্কটাডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাদকের অবৈধ অর্থ প্রবাহের দিক থেকে বিশ্বে প্রথম অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। এরপর যথাক্রমে রয়েছে কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, পেরু ও বাংলাদেশ। মাদক এবং অপরাধ প্রতিরোধে কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনওডিসির সহায়তায় এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন করে সংস্থাটি।