আদালত ভবন থেকে লাফিয়ে পুলিশ সদস্যের আত্মহত্যার চেষ্টা
সিরাজগঞ্জে আদালতের তৃতীয় তলা থেকে লাফ দিয়ে আব্দুর রাজ্জাক রনি (২৬) নামে এক পুলিশ কনস্টেবল আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে জানা গেছে। আজ রোববার (১৮ জুন) দুপুরের ঘটনাটি আদালতপাড়াসহ শহরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
আহত পুলিশ সদস্যকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ঘটনাটি ঘটে।
স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে আসেন আহত পুলিশ কনস্টেবল আব্দুর রাজ্জাক। তাঁর বাড়ি জেলার কাজীপুর উপজেলার কুনকুনিয়া গ্রামে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২-এর পেশকার মো. রাসেল জানান, ২০২২ সালের মার্চ মাসে তিথি আক্তার বন্যা নামে এক নারী বাদী হয়ে স্বামী পুলিশ কনস্টেবল আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আজ সেই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। আদালতের বিচারক বেগম সালমা খাতুন উভয় পক্ষের আইনজীবীকে বলে মামলাটি আপস মীমাংসার চেষ্টা করেন। প্রথমে আব্দুর রাজ্জাক রনি সংসার করার জন্য রাজি হন। পরে তিনি বলেন, সংসার করবেন না। এ সময় বিচারক আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে আপস মীমাংসা জন্য ৩০ মিনিট সময় দেন। ফের ডাকা হলে আব্দুর রাজ্জাক রনি আদালতকে বলেন, ‘আমি সংসার করব না। আমাকে জেল দেন, ফাঁসি দেন।’ এ কথা শুনে আবারও মীমাংসা জন্য সময় দেন বিচারক। তৃতীয়বার যখন ডাকা হয়, তখন ওই পুলিশ সদস্য আদালতের তিনতলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে দেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (ভারপ্রাপ্ত পিপি) অ্যাডভোকেট জাহিদা সুলতানা বীথি বলেন, বিচারক আপস-মীমাংসার কথা বলেন। মামলার বাদী তিথি আক্তার বন্যা রাজি হলেও আসামি রাজি হননি। একপর্যায়ে তিনি এজলাস থেকে বেরিয়ে বারান্দা থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক. ডা. রোকন উদ্দিন বলেন, ‘আব্দুর রাজ্জাক রনি নামে এক ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে দ্রুত তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাঁর আঘাত গুরুতর নয়। দুই এক দিনের মধ্যেই বাড়িতে চলে যেতে পারবেন তিনি।’