ঈদ ঘিরে সক্রিয় জালনোট তৈরির চক্র
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে উঠেছে জালনোট তৈরির চক্র। অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে নানা কৌশলে বাজারে ছাড়া হচ্ছে জালনোট। গত কয়েক মাসে জালনোট তৈরির একটি চক্র চারটি বড় চালান বাজারে ছেড়েছে। এর মধ্যে গত ১৫ জুন (৫০০, ২০০ ও ১০০ টাকার নোট) ৯০ হাজার টাকার বিনিময়ে পাঁচ লাখ টাকার জালনোট চালান দেয় চক্রটি। তাদের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩।
আজ মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলি র্যাব-৩-এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন এ চক্রের মূলহোতা শাহজাদা আলম (৩৩) ও তার সহযোগী মাহদী হাসান (১৯) এবং আবু হুরায়রা ওরফে তুষার (২২)।
আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৯০০টি ২০০ টাকার ও ২০০টি ১০০ টাকার জালনোট উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া জালনোট তৈরির কাজে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, একটি প্রিন্টার, টাকা ডিজাইন করার ৪টি টোনার কার্টিজ, ১০টি বিশেষ মার্কার পেন, দুটি রিম সাদা কাগজ, একটি ফয়েল পেপার রোল, তিনটি স্টিলের স্কেল, তিনটি এন্টি কাটার ও বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, গত কয়েক মাসে লাখ লাখ টাকার জালনোট বাজারে ছেড়েছে চক্রটি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে কৌশলে জালনোট বাজারে সরবরাহ করছে—এমন খবরে গোয়েন্দা নজরদারি বাজানো হয়। এক পর্যায়ে অভিযান চালিয়ে জালনোট তৈরির সময় চক্রের তিন গ্রেপ্তার করা হয়।
আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এসব জাল নোটের এক লাখ টাকার একটি বান্ডেল তৈরিতে দুই হাজার টাকা খরচ হয়। আর প্রতি লাখ জাল নোট বিক্রি করা হতো ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকায়।’
আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ আরও জানান, গ্রেপ্তার শাহজাদা, মাহেদী ও তুষার মিলে গত ছয় মাস ধরে জালটাকার ব্যবসা করে আসছেন। মাহেদী আগে থেকেই ফটোশপ এবং গ্রাফিক্সের কাজ জানতেন। তিনি ইউটিউব থেকে জাল টাকা বানানোর প্রক্রিয়া দেখে এবং ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচিত হওয়া দুই বন্ধু শাহজাদা ও তুষারের সহযোগিতায় জালটাকা তৈরির কাজ শুরু করেন।