দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না ইসলামী আন্দোলন
দলীয় সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে না ইসলামী আন্দোলন। রাজনৈতিক এই দলের আমীর চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম আজ শনিবার (২৪ জুন) এ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি অঙ্গীকার করে বলছি, দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনেই ইসলামী আন্দোলন অংশ নেবে না। আমরা আগেও এ কথা বলেছি এবং এখনও এটাই বলছি।’
আজ রাজধানীর গুলিস্তানে একটি হোটেলে ‘রাজনৈতিক সংকট উত্তরণ এবং একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে করণীয়’ বিষয়ক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন। এতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, সেন্ট্রাল মসজিদ মিশনের সেক্রেটারি ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমদ আবদুল কাদের, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম মসীহ, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, মুসলিম লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুল ইসলাম প্রমুখ অংশ নেন।
আলোচনা সভায় সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘ক্ষমতাসীন সরকার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে আয়োজন করার পায়তারা করছে। আওয়ামী লীগ আবারও দেশের মানুষকে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো ধোঁকা দিয়ে বোকা বানানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।’
ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, ‘দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, বাকস্বাধীনতা ও ভোটাধিকার নেই বললেই চলে। বর্তমান সরকার ভোটের নামে প্রহসন করে। ভোটকেন্দ্র দখল করে দিনের ভোট রাতে করে। ইভিএমের মাধ্যমে ডিজিটাল কারচুপি করে গোটা বিশ্বের সামনে দেশকে লজ্জিত করেছে। এতে করে ক্ষমতাসীন সরকার জনবিচ্ছিন্ন একটি স্বৈর সরকারে পরিণত হয়েছে। সরকার ক্ষমতায় থাকার সকল বৈধতা হারিয়ে ফেলেছে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা আজ চরম হুমকির মুখে।’
অর্থনৈতিক সংকট দিন দিন ঘনীভূত হচ্ছে জানিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, ‘বৈদেশিক ঋণ বৃদ্ধি, দেশীয় ব্যাংকের তারল্য সংকট, মার্কিন ডলার সংকট ও মুদ্রাস্ফীতি অর্থনীতিকে আজ পঙ্গু করে ফেলেছে। তাই সরকারের পতন এখন সময়ের দাবি।’