খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানালেন মির্জা ফখরুল
টানা পাঁচদিন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত ১৭ জুন বাড়ি ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এরপর থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা তুলনামূলকভাবে কিছুটা ভালো। তবে, উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনের দেশের বাইরের বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
আজ সোমবার (২৬ জুন) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল রোববার রাতে খালেদা জিয়াকে দেখতে তার গুলশানের বাসায় যান মির্জা ফখরুল। এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন তিনি। এ নিয়ে আজ বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন মির্জা ফখরুল।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের বাইরে বিশেষায়িত হাসপাতলে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার প্রয়োজন। তবে, সেটা তো হচ্ছে না। ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) এবার হাসপাতাল থেকে ফিরে আসার পরে একটু ভালো আছেন, বেটার আছেন। উনার যে সমস্যাগুলো আগে ছিল, সেগুলো এখন আর নেই। শি ফিল বেটার, আরকি। কিন্তু, উনার মূল প্রবলেমগুলো সলভ হওয়ার সম্ভাবনা নাই।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘উনার (খালেদা জিয়া) লিভার সিরোসিস, সিরিয়াস আর্থাইটিস ও হার্টের প্রবলেম আছে। এগুলোর জন্য বার বার তাঁর মেডিকেল বোর্ড বলছেন, বাইরের বিশেষায়িত হাসপাতালে তার চিকিৎসা করার প্রয়োজন। সেটা তো হচ্ছে না। সে জন্য যেটা আমরা বলি উনার রিস্ক (ঝুঁকি) সেটা থেকেই যাচ্ছে।’
গত ১২ জুন দিবাগত রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া। এরপর তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পাঁচদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর গত ১৭ জুন তিনি বাসায় ফেরেন। ওই সময় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ড হাসপাতাল থেকে ছুটি দিলেও বাসায় বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা চলবে।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা, লিভারের রোগ ও হৃদরোগে ভুগছেন।
২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন খালেদা জিয়া। গত বছর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার পরিপাকতন্ত্রের রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা।