ঈদ জামাতে ছাতা-জায়নামাজ ছাড়া কিছু না আনার অনুরোধ ডিএমপির
জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার প্রধান জামাতকে নিয়ে তৎপর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইসঙ্গে ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাতে ছাতা ও জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু না আনার অনুরোধ করেছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। আজ বুধবার (২৮ জুন) জাতীয় ঈদগাহে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অনুরোধ করেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘জাতীয় ঈদগাহে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ ৩০-৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করবেন। যারা ঈদগাহ আসবেন, তারা শুধুমাত্র জায়নামাজ আর ছাতা নিয়ে আসতে পারেন। ব্যাগ বা অন্য কোনো না নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছি।’
জাতীয় ঈদগাহে প্রবেশের সময় প্রত্যেককে চেকপোস্টে তল্লাশি করা হবে। এরপরেই প্রবেশ করা যাবে ঈদগাহে। একইসঙ্গে গাড়ি কোথায় থামবে সে বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘গাড়ি থেকে নেমে অনেকদূর হেঁটে আসতে হবে। তাই বৃষ্টির দিনে সবার সঙ্গে ছাতা থাকা ভালো। আবহাওয়া বেশি খারাপ না হলে মুসল্লিরা নির্বিঘ্নে জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করতে পারবেন।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহে তিনস্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অনলাইনেও সক্রিয় থাকবে ডিএমপির সাইবার ইউনিটগুলো। ঈদগাহ ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হচ্ছে। ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে।’
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘ঈদের জামাতকে ঘিরে জঙ্গি হামলার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। এরপরেও পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সেটা অব্যাহত থাকবে।’
ঈদে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘গত ঈদে যে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল এবারও তা বজায় রাখা হবে।’