হবিগঞ্জে পঞ্চম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ, কারাগারে শিক্ষক
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ছনখলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম ফজলুল হক কামালকে (৪১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (২৮ জুন) তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতে তিনি ধর্ষণের ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার শিক্ষক ফজলুল হক ছনখলা গ্রামের আমিন মিয়ার ছেলে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বুধবার বিকেলে শিক্ষক ফজলুল হককে আদালতে নেওয়া হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। পরবর্তীতে তাকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ছনখলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছুটির দিন শুক্রবার ওই স্কুলের একটি কক্ষে প্রাইভেট পড়াতেন শিক্ষক কেএম ফজলুল হক। তার কাছে প্রাইভেট পড়তে আসা একই স্কুলের ছাত্রী দুই চাচাতো বোনকে কৌশলে ভয় দেখিয়ে বিগত ২৫ দিন আগে স্কুলের টয়লেটে নিয়ে ভিন্ন সময়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন ওই শিক্ষক।
নির্যাতনের শিকার দুই ছাত্রী জানায়, ধর্ষণের পর ওই শিক্ষক তাদের হুমকি দিয়ে বলেন, যদি তারা এ ঘটনায় মুখ খোলে তাহলে স্কুল থেকে তাদের নাম কেটে বের করে দেওয়া হবে। শিক্ষকের এমন হুমকিতে এক পর্যায়ে দুই বোন দীর্ঘদিন স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে পরিবারের চাপে শিক্ষকের ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ করে দুই ছাত্রী। অভিযুক্ত শিক্ষক কেএম ফজলুল হক ছাত্রীদের সঙ্গে এমন আচরণের বিষয়টি স্বীকার করে অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা চান।
এদিকে শিক্ষকের এ ধরনের অসামাজিক কাজের ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার এক ছাত্রীর বাবা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মাধবপুর-চুনারুঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নির্মলেন্দু চক্রবর্তী বলেন, মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।